বাংলাদেশে এসে পড়ল মিয়ানমারের ১৩ মর্টারশেল, সীমান্তে আতঙ্ক

মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লাগাতার সংঘর্ষ চলছে। বাংলাদেশ থেকেই শোনা যাচ্ছে গোলাগুলির বিকট শব্দ।

শুধু শব্দ নয়, এরইমধ্যে ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ঘুমধুম ও পালংখালী সীমান্ত এলাকায় ১৩টি মর্টারশেল ও একটি বুলেট এসে পড়েছে। ফলে ওই এলাকায় বাসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের কাছে প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) উখিয়ার পালংখালী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘুমধুম এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপি ও সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।

সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে গত কয়েকমাস ধরে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য মতে, রাখাইনের বেশিরভাগ এলাকা ইতিমধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। যে কারণে সেখানে লড়াই চলমান থাকায় যার প্রভাব বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পড়েছে। বিশেষ করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের গোলাগুলি ও মর্টারশেলের শব্দে সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।