যশোরে একটি হত্যা মামলা ও আরেকটি চুরি মামলার চার আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
যশোর সদর উপজেলার আরবপুরে চাঁদা না পেয়ে মাদ্রাসাশিক্ষক আব্দুল মালেককে হত্যা মামলায় রাব্বি হোসেনের ও চুরি মামলায় গৃহচোর চক্রের আরও তিনসদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে ইমরান আহম্মেদ পৃথক দুই মামলায় পুলিশের চাওয়া সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে
এ আদেশ দেন। রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন, হত্যা মামলায় যশোর সদর উপজেলার আরবপুর এলাকার রাব্বি হোসেন ও চুরি মামলায়
কৃষ্ণবাটি গ্রামের শাকিল হোসেন, চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম রবি ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের রিজভী আহম্মেদ ওরফে রাফিন।
আদালত সূত্র জানায়, মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মালেকের কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে তাকে
কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। তার দুই পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে আবার ঢাকায় রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গত ৩০ ডিসেম্বর ৫ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন আব্দুল মালেকের ছেলে আমান উল্লাহ।
ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ জানুয়ারি মারা যান আব্দুল মালেক। মামলটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হয়। পরে ঢাকা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হেলাল উজ্জামান তাকে আটক করে আদালতে সেপার্দ করে। একই
সাথে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানান। অন্যদিকে, রিমান্ড প্রাপ্ত অন্য আসামিরা গৃহচোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ও রাফিন মণিরামপুরের একটি বাড়িতে হাতে নাতে চুরি করতে যেয়ে ধরা খাই। এরমধ্যে রবিউল ও রাফিনকে একটি মামলায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
পরবর্তিতে তাদের কাছথেকে চুরির বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। তারা নিজ মুখেই স্বীকার করেন চুরির কথা। এছাড়া তালবাড়িয়া গ্রামে একটি চুরির ঘটনার সাথে তারা জড়িত থাকার বিষয়টি স্বিকার করেন। মালামালও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাদেরকে আটক দেখানো হয়। পরে তাদের সাতদিনের রিমান্ড
আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।