বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি ঘিরে রাতভর গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার অন্তত ১৩টি গ্রামের বাসিন্দাদের।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি ঘিরে রাতভর গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার অন্তত ১৩টি গ্রামের বাসিন্দাদের।
সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অনবরত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। যে কারণে শঙ্কা ভর করেছে এপারের বাসিন্দাদের মনে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) এর ১১৫ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) পিআরও শরিফুল ইসলাম।
এদিকে সীমান্তবর্তী জলপাইতলী গ্রামে সোমবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশি নারীসহ ২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সীমান্ত জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তের তুমব্রু বাজারপাড়া, মাঝেরপাড়া, কোনাপাড়া ৩টি গ্রামের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, সীমান্তে বাংলাদেশীরা চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ।
প্রসঙ্গত, অশান্ত মিয়ানমারে চলমান গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুসহ আশপাশের এলাকাগুলো। সর্বশেষ জলপাইতলী গ্রামে মর্টারশেলের বিষ্ফোরিত অংশের আঘাতে বাংলাদেশী নারী আসমা খাতুনসহ (৫৫) দুজনের মৃত্যু হয়। এরআগে মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া গুলিতে রোববার বাংলাদেশি নাগরিক প্রবিন্দ্র ধর ও রহিমা বেগম দুজন আহত হয়। আগেরদিন মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে সিএনজি অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে যায় এবং সীমান্তবর্তী বহুঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মর্টারশেলের গোলার আঘাতে। মাঝেমধ্যেই সীমান্তের এপারে মিয়ানমারে সংঘাতের গুলি, বোমা এসে পড়ছে বাংলাদেশে। সীমান্ত জুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।