যশোর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের উপর খড়গ চাপানোর প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা আহবান

যশোর পৌরসভা একটি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও পৌর নাগরিকদের উপর প্রতিনিয়ত ইচ্ছা মাফিক খড়গ চাপিয়ে কর আদায়ের নতুন কৌশল শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার হঠকারী প্রতিবাদে যশোর পৌরসভার অধীনে বসবাসরত নাগরিকদের এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও সুরাহার জন্য নাগরিকদের পক্ষথেকে মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকালে এক মত বিনিময় সভা আহবান করা হয়েছে। বিকেল ৪ টায় প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে মত বিনিময় সভায় পৌর নাগরিকদের পরামর্শ গ্রহন পূর্বক পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে। উল্লেখ্য পৌরসভা একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানে পৌর নাগরিকগন কর দিয়ে কিছু পরিমান সহযোগিতা করবে এবং পৌরসভা সরকার ও অন্যান্য স্থান থেকে সহযোগিতা নিয়ে নাগরিকদের সেবা দেবে- এটাই চিরচরিত বিধান হলেও। মূলত যশোর পৌরসভা সেবা দানে একেবারেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয় যশোরের ঐতিয্যবাহী পৌরসভা প্রশাসন এখন পৌর নাগরিকদের নিপীড়নের ভূমিকায় অবতীর্ণ।

 

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,পৌরসভার নাগরিকরা পানি সুবিধা পাওয়ার জন্য মোট করের ১০% পানি কর দিয়ে থাকে। এরপরও মাসিক ২৭০/২৯০ টাকা পানি বিল দিয়ে পৌরসভার থেকে পানি কিনে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কখনও সুপেয় বা পরিষ্কার পানি সময় পাওয়া যায় না। শুষ্ক মৌসুমে পানির জোর থাকে না। একজন পৌর নাগরিক পৌরসভা থেকে একবার পানির লাইন নিলে আর কোন দিন তা বিচ্ছিন্ন করতে পারবেন না। ব্যবহার না করলেও তাকে পৌরসভার খড়ক িিবল গুনতে হবে। এটা পৌর কর্তৃপক্ষের হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন পৌরসভার বিভিন্ন পেশার মানুষ।

 

পৌরসভা থেকে পানি সেবা থেকে বঞ্চিবত হয়ে পৌর নাগরিকগন পানির কষ্ট দূর করতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে সাবমার্সিবল নিতে বাধ্য হয়। নিজের পকেটে থাকা দিয়ে সাব মার্সিবল নেওয়ার পর পৌর কর্তৃপক্ষ সাবমার্সিবল বিল নেওয়া বাবদ ৩শ’ টাকা দিতে বলে নোটিশ জারি করেন। তাহলে কি দাড়াল- একজন করদাতার পানি কর দিতে হবে, সাপ্লাইয়ের লাইন থাকলে পানি বিল দিতে হবে। যদি তিনি সাবমার্সিবল নেন, তবে সাবমার্সিবল বিল দিতে হবে। অর্থাৎ একজন পৌর নাগরিককে পানি সংক্রান্ত তিনটা বিল গুনতে হবে। এটাই কি পৌরসভার সেবার নমুনা ? এটা অন্যায়, অযৌক্তিক। পৌরসভার এজাতীয় জুলুম মানা যায় না। তাই অআজ মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪ টায় প্রেসক্লাবে পৌরসভার করদাতাদের এক মতবিনিময় সভা আহ্বান করা হয়েছে। উক্ত মত বিনিময় সভায় পৌর নাগরিক উপস্থিত হয়ে যুক্তিযুক্ত ও পৌর সভার খড়গ চাপানোর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার মতামত দেওয়ার জন্য একজন পৌর নাগরিক সকলের কাছে আহবান জানিয়েছেন।