যশোর শহরে দুর্বৃত্ত্বদের ছুরিকাঘাতে আকাশ (২২) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে শহরের শংকরপুর বটতলা এলাকায়। নিহত আকাশ ওই এলাকার তোতা মিয়াা ওরফে মেজোর ছেলে। এই ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশ ও পিবিআই তিনজনকে আটক করেছে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছে।
নিহতের পিতা তোতা মিয়া বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকার আলতুর ছেলে অনি মোবাইল করে আকাশকে। তাকে দেখা করতে বললেও আকাশ এড়িয়ে যায়। কারন ওই এলাকার কয়েকজনের সাথে তার পূর্ব শত্রুতা ছিলো। মঙ্গলবার বিকেলে একই এলাকার তানভির নামে একজন মোবাইল ফোন করে আকাশকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে শংকরপুর বটতলা এলাকায় তারা খাওয়া দাওয়া করে। রাত একটার দিকে তিনি জানতে পারেন, বটতলা এলাকায় কে বা কারা আকাশকে ছ’রিকাঘাত করেছে। সে মাটিতে পড়ে আছে। তিনিসহ পরিবারের লোকজন এগিয়ে গিয়ে আকাশকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যানব। কিন্ত জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষা করেন।
তিনি জানিয়েছেন, পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই এলাকার আলতুর ছেলে অনি, মেসিয়ার খোকনের ছেলে গোল্ডেন সাব্বির, আব্দুল খালেকের দুই ছেলে বাঘা ওরফের সোহাগ ও ছোট আকাশ, আলী আহমেদের ছেলে সোহান, আব্দুল হাকিমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, হাফিজ নাপিতের ছেলে মুসা,একই এলাকা শাহাবুদ্দিনসহ ১০/১২ জন ছিলো। তারাই আকাশকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত আকাশও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে কোতয়ালি থানায়। আসামিদের সাথে তার পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিলো। বেশ কিছুদিন ধরে লুট করা বা চুরি করা সোনার গহনার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আকাশের সাথে বিরোধ বাঁধে। ওই বিরোধের সূত্রে আকাশ খুন হতে পারে।
এলাকাবাসি জানিয়েছে, এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পিবিআই সোহাগ ওরফে বাঘাকে আটক করেছে। আর ডিবি পুলিশ শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার শাহাবুদ্দিন ও মুরগী সোহেলকে আটক করেছে।
কোতায়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে শংকরপুর আকাশ নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। নিহত আকাশও সন্ত্রাসী ছিলো। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে দুইটি ও মাদক আইনে একটি মোট তিনটি মামলা আছে। ওই এলাকার সন্ত্রাসীদেরন অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে আকাশ খুন হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ আসামি আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে । আসামিদের আটক করতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।