যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার রুপি কসাইদের শাস্তির দাবি

jessore hospital

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের গ্যাস্টো এন্টারোলজি ডাক্তার হামিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ পন্থায় টাকা হাতিয়ে নেয়া ও রোগীর সাথে র্দুব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। হামিদ উদ্দিন জেনারেল হাসপাতালের সামনে ল্যাবজোন স্পেশালাইজড হসপিটালে রোগী দেখে।

তিনি শুুধু মাত্র গ্যাস্ট্রে এন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ হলেও প্রেসকিপসনে লেখেন মেডিসিন ও গ্যাস্ট্রে-লিভার বিশেষজ্ঞ। এ ভাবে তিনি রোগীদের সাথে দীর্ঘদিন প্রতারনা করছেন। খাজুরা কেশবপুর গ্রাম থেকে হাসান ইমাম নামে এক রোগী গ্যাসের সমস্যা নিয়ে ১০ মার্চ ডাক্তার হামিদ উদ্দিনের প্রাইভেট চেম্বার ল্যাবজোন স্পেশালাইজড হসপিটালে ৬শ টাকা ফি দিয়ে দেখান। ডাঃ হামিদ উদ্দিন প্রথম দিন হাসান
ইমামকে দেখে ১৩ হাজার টাকার টেস্ট দেন। ৭ থেকে ১০ ধরনের টেস্ট দেয়।

পরের দিন রোগী হাসান ইমাম বাড়ি থেকে এনে টেস্ট করান। কোথা থেকেটেস্ট করতে হবে সেটাও প্রেসকিপশনে লিখে দিয়েছে। যা সম্পূর্ন মেডিকেল অধ্যাদেশ আইনে অবৈধ। টেস্ট গুলি হলো এন্ডোসকপি, ক্লোনোসকপি, সিইসিটি, এইচবিএস, লিপিড প্রোফাইল ও ওজিটিটি, সিটিস্ক্যানসহ একাধিক টেস্ট লেখেন। ডাঃ ইমদাদ সিটি স্ক্যান কুইন্স হসপিটাল থেকে করতে বলেন। কুইন্স হসপিটালে সিটি
স্ক্যান ফি ১২ হাজার টাকা।

একই সিটি স্ক্যান জেনারেল হাসপাতালে ৬ হাজার টাকা ফি। সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে রোগী হাসান ইমাম সিটি স্ক্যান যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে করেন। এরপর ডাঃ হামিদ উদ্দিনের কাছে রিপোর্ট দেখাতে নিয়ে গেলে রোগী হাসান ইমামের সাথে চরম র্দুব্যবহার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাক্তার বলেন, গ্যাসট্রোলজি রোগীর সাধারণত ক্লোনোসকপি করার প্রয়োজন হয়না। এ ছাড়া সিটি স্ক্যানও দরকার হয় না। ডাঃ হামিদ উদ্দিন কি কারণে ওই সব বাড়তি টেস্ট দিয়েছেন তা বোধ্যগম্য নয়।

এ ব্যাপারে রোগী ও রোগীর স্বজনরা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এ
ভাবে ডাক্তার রুপি কসাইরা অসহায় মানুষের সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে তারা দাবি জানান।