বেনাপোল রেলষ্টেশনে ট্রেনের পরিচালক এর নিকট থেকে শাড়ী থ্রি-পিছ আটক

বেনাপোল রেলষ্টেশন কাস্টমস ট্রেন পরিচালক মতিউর রহমান এর নিকট থেকে ৫৯ পিছ শাড়ী থ্রি-পিছ আটক করেছে। এছাড়া ওই যাত্রীর কম্বলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ৯ টি ভারতীয় মদ ও জব্দ করে কাস্টমস। তবে যাত্রী ওই কম্বল তার না বলে অস্বীকার করে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টার সময় ভারত থেকে বন্ধন ট্রেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস এর আনুষ্ঠানিকতার জন্য থামালে যাত্রীরা নিজ নিজ ল্যাগেজ নিয়ে ইমিগ্রেশন কাস্টমে গেলে মতিউর রহমান ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে তাদের ল্যাগেজ বেনাপোল রেলষ্টেশন মাস্টারের বারান্দায় রাখে। এরপর জাতিয় গোয়েন্দ সংস্থা’র (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে রেলষ্টেশন মাস্টারের অফিসের বারান্দা থেকে কাস্টমসে নিয়ে তল্লাশি করা হলে ৫৯ পিছ শাড়ি থ্রিপিছ এবং দুটি কম্বল থেকে ৯ পিছ ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ উদ্ধার হয়। এ সময় ওই কম্বল তার নয় বলে জানায়।

কাস্টমস এআরও সেলিম জানায়, কাস্টমস এবং গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য যৌথ ভাবে রেলষ্টেশন মাস্টারের অফিসের বারান্দা থেকে এসব মাল এনে তল্লাশি করা হলে ৫৯পিছ শাড়ী থ্রি-পিছ এবং দুটি কম্বলের মধ্যে থেকে ৯ টি মদ উদ্ধার হয়। তবে শাড়ী থ্রি-পিছ এর কথা ট্রেন পরিচালক পরিচয়ে মতিউর রহমান এর বলে তিনি জানায়। আর মদ ও কম্বলের দাবি কেউ করে নাই।

বেনাপোল রেলষ্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, মতিউর রহমান একজন ট্রেন পরিচালক ছিলেন। তিনি কোলকাতা খুলনা ট্রেনের পরিচালক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এল পিয়ারে গেছেন। এ পথে ভারত থেকে ট্রেনে করে বিভিন্ন পণ্য আসা সম্পর্কে তার আগে থেকে জানা শুনা ছিল। হয়ত সেই কারনে সে এত গুলো শাড়ী থ্রি-পিছ এনেছে। তা নাহলে একটি পরিবারের এত গুলো পণ্য লাগার কথা নয়। এ সময় তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেও ছিল।

মতিউর রহামান বলেন, আমি এর আগে এ পথে কোন পণ্য আনি নাই। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে প্রথমবার এই পণ্য নিয়ে এসেছে। আমার বর্তমানে চাকুরী নাই। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।