চুল কাটার এখনই সময়

আর মাত্র ক’দিন পর ঈদ। এবারের ঈদে এক সপ্তাহ আগে হেয়ার কাটিং করা উচিত।

এতে করে কাটিংটা মুখের সঙ্গে মানিয়ে যাবে। হেয়ার কাটিংয়ের পাশাপাশি হেয়ার ট্রিটমেন্টটা করে নিতে পারেন।

তাহলে ঈদের দিন চুল থাকবে হেলদি ও দেখাবে উজ্জ্বল।

জেনে নিন মুখের ধরন বুঝে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেমন হেয়ার কাট দেওয়া যায় তা নিয়ে কিছু পরামর্শ।

ভলিউম লেয়ার

বড় মুখে বেশ মানানসই এই কাট। ঘন, স্ট্রেইট ও বড় চুলে বেশ ভালো দেখায়।

এ স্টাইলে লেয়ার শুরু হয় কানের দুই পাশ থেকে এবং সামনের ও পেছনের চুল সমান ভাগ করে লেয়ার কাটা হয়।

ফরোয়ার্ড গ্রাজুয়েশন লেয়ার

ঢেউ খেলানো চুল এবং স্ট্রেইট চুলের জন্য এ কাট উপযোগী। নিচ থেকে চুলের আগা পর্যন্ত সামনের দিকে লেয়ার করে কাটা হয় এ স্টাইলে। তবে যাদের গলা ছোট ও উচ্চতা কম তারা এ স্টাইলটি করবেন না। গোলমুখ এবং লম্বা চুলের জন্য এ কাটটি মানানসই।

ইমো হেয়ার কাট

যাদের মুখের গড়ন পাতলা ও ছোট, এ কাট তাদের জন্য। মূলত টিনএজারদের মাঝে খুব জনপ্রিয়। স্ট্রেইট চুলে বেশ মানানসই। ইমো কাটের সঙ্গে চুলে হাইলাইট করিয়ে নিয়ে আরও বেশি ভালো দেখায়।

স্লাইস হেয়ার কাট

যেকোনো মুখের গড়নের সঙ্গে মানিয়ে যায় এ হেয়ার কাট। চুলের লেন্থ বুঝে শর্ট, লং ও মিডিয়াম লেয়ার করতে পারেন। যত বেশি লেয়ার হবে, তত সুন্দর দেখাবে। অল্প কোঁকড়া বা রুক্ষ চুলেও স্লাইস লেয়ার করা যায়।

লেয়ার শ্যাগ

লম্বাটে বা ডিম্বাকার মুখের গড়নে এবং ভালো মানায় এ হেয়ার কাট। ষাটের দশকে খুব জনপ্রিয় ছিল এ হেয়ার স্টাইলটি। শ্যাগে অনেক লেয়ার করে কাটা হচ্ছে চুল। এতে চুলের ভলিউম বেশি দেখায়। এ স্টাইলে চুল কমপক্ষে কাঁধ পর্যন্ত কিংবা এর থেকে বেশিও রাখা যায়।

চিক কাট

স্ট্রেইট চুল এবং চৌকোণা মুখে বেশ মানায় এ কাটটি।

পিক্সি কাট

যাদের মুখ গোলাকার এ ধরনের মুখের জন্য ছোট চুলের স্টাইল মানানসই। চুলের লেন্থ গলা পর্যন্তই থাকে। তবে কানের দুই পাশে খানিকটা বাড়তি চুল রেখে দেওয়া হয়, যাতে কান ঢাকা থাকে।

 

ব্যাংস কাট

এ গরমে ব্যাংস কাট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফ্রন্ট ব্যাং, বেবি ব্যাং, রঙিন ব্যাংগুলো এখন ফ্যাশন। মুখের আকৃতি, চুলের দৈর্ঘ্য এবং টেক্সচারের ভিত্তিতে বেছে নিতে পারেন হেয়ার ব্যাং। মনোযোগ আকর্ষণ করতে এটি হতে পারে একটি স্টাইলিশ হেয়ার কাট।

ওয়েভি বব কাট

এই গরমে ওয়েভি বব একটি ট্রেন্ড। বব কাট আপনার চুলে আরও ভলিউম যুক্ত করবে। এ হেয়ার কাটে সামনের দিকের চুলগুলো ছোট থাকে। পেছনের চুলগুলো বড় রাখা হয়।

ব্লো ড্রাই

৯০ দশকের ব্লো ড্রাই ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যদিও কেউ কেউ মনে করতে পারে যে, এ স্টাইল পাওয়া চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সহজেই হেয়ারড্রাই দিয়ে চুলে ব্লো-ড্রাই তৈরি করতে পারেন। এ হেয়ার স্টাইলে আপনার চুল উজ্জ্বলতায় পূর্ণ থাকবে।

ছেলেদের আরামদায়ক কয়েকটি হোয়ার কাট

হোয়াইট ওয়ালস কাট

এই হেয়ার স্টাইলে কানের ওপরের চুল ছোট করে কাটা থাকে। মাথার পেছনের চুলগুলো লেয়ারের মতো করে বের হয়ে আসে। যাদের মাথা লম্বা আকৃতির তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।

ফেড কাট

চুলের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম রেখে যে কাট দেওয়া হয় সেটিই ফেড কাট। এই স্টাইলের চুলের কাটে মাথার পেছনে এবং কানের ওপরে চুল প্রায় থাকে না। কানের এক ইঞ্চি ওপর থেকে চুল বড় হওয়া শুরু করে। অপরদিকে মাথার পেছনে ওপরের অর্ধেক থেকে চুল হালকা বড় হতে থাকে। যারা অনেক বেশি ক্যাজুয়াল তাদের জন্য এ হেয়ার স্টাইল মানানসই।

বোর কাট

এই হেয়ার স্টাইল করতে চুল ক্লিপার দিয়ে কাটতে হবে। এক্ষেত্রে চুলের দৈর্ঘ্য হবে ১ ইঞ্চির ৮ ভাগের এক ভাগ। এ স্টাইলে পুরো মাথার চুল সমান থাকবে, যা দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো। যাদের মাথা একটু বড় এবং চুল অনেক ঘন ও মোটা তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।

লেয়ার স্পাইক

লেয়ার স্পাইক স্টাইলে চুল কাটতে হলে কপালের ওপরের চুল ছোট করে স্পাইক করতে হবে। মাথার ওপরের দিকের চুল তুলনামূলক বড় হবে। কিন্তু পেছনের দিকে লেয়ার কাট হবে। এই হেয়ার স্টাইল টিনএজারদের অনেক প্রিয়। এ স্টাইলে মাথার সামনের চুলগুলো ক্রমেই ছোট থেকে বড় হয়ে স্পাইক হয়।

ব্রাশ কাট

ব্রাশ কাট করতে চাইলে আপনাকে কানের ওপরের চুলগুলোকে একদম ছোট করে কাটতে হবে। মাথার ওপরের চুলগুলোর দৈর্ঘ্য সমান করতে হবে।

ক্রু কাট: ক্রু কাটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মাথার পেছনের ও পাশের চুল খুব ছোট করে কাটা হয়, কিন্তু ওপরের চুলগুলি ক্রমান্বয়ে কিছুটা বড় ও খাড়া করে রাখা হয়। ক্রু কাট পরিচর্যা করা খুব সহজ।