রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি

dollar

রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার ধার করায় প্রায় এক মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৫২ কোটি ডলার।

বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে দেশের নিট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৯৭ কোটি ডলার বা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। একই সঙ্গে গ্রস রিজার্ভও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। তবে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে নিট রিজার্ভ আরও কম। এদিকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ১২৫ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করতে হবে। তখন রিজার্ভ আবার কমে যাবে।

এমন এক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ বাড়াচ্ছে যখন আইএমএফের একটি মিশন দেশে সফর করছে। তারা আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূল্যায়ন করছে।

সূত্র জানায়, ২৮ মার্চ দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৯৭ কোটি ডলার। ওই সময়ে নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৫২ কোটি ডলার। তবে এই রিজার্ভের মধ্যে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ আরও কম।

এদিকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আকুর দেনা বাবদ ১২৫ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া ব্যাংক থেকে ধার করা ডলারও আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধ করতে হবে। কারণ ওই সময়ে ব্যাংকগুলোর কিছু বড় দেনা শোধ করতে হবে। এগুলো পরিশোধ করলে রিজার্ভ আবার কমে যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ওই সময়ে প্রবৃদ্ধি কমলেও গত কয়েক মাস ধরে রপ্তানি আয় প্রতি মাসে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আসছে। গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চে আমদানি ব্যয় কমেছিল ১১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কমেছে ১৫ শতাংশ। ডলার সাশ্রয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমানোর কারণে রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে।