যশোরের ঝিকরগাছায় ৪টি পরিবারের বশতভিটা, কৃষি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের ঘটনায় যশোরের জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব, দূর্নীতি দমন কশিশনের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ৪পরিবরের ৫সদস্য।
অভিযোগকারিরা হলেন, উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে মঈনুল হাসান, শাহাজাহান আলীর স্ত্রী শিউলী খাতুন, রমজান আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও আহচান, হাফিজুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন। জানাগেছে, একই গ্রামের মৃত- পাচু সর্দারের ছেলে মকবুল হোসেন, তার ছেলে ইকবাল হাসান ও পুলিশের এএসপি ফকরুল হাসান ক্ষমতা ও পুলিশের জোরে অভিযোগকারী মইনুল ইসলামের পিতার নামীয় পৌরসদরের ৬৮নং কৃষ্ণনগর মৌজার সাড়ে ৩শতক জমিতে জোরপূর্বক বহুতল ভবন নির্মান করেছেন।
৫৯নং মির্জাপুর মৌজার শিউলি খাতুনের সাড়ে ১১শতক, আব্দুর রাজ্জাক, আহচান ও তাসলিমা খাতুনের দেড় শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে গোডাউন নির্মান করেছে। এছাড়া পুলিশের এএসপি ফখরুল হাসান প্রতিবেশির জোরপূর্বক সাড়ে ১১শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার পর যাত্রাবাড়ি থানায় শিউলি খাতুনের স্বামী প্রবাশী শাহজাহান আলীর নামে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে মামলা দিয়েছে। যার নং-৬৩, তাং-১৯/০১/২০২৩ ইং। শাহাজান আলী বিদেশে থাকায় একাধিকবার ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ওই বাড়তে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের হয়রানী করেছে বলে শিউলি খাতুন জানিয়েছেন। এদিকে বিবাদি মকবুল হোসেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও তৎকালিন ক্ষমতাসীন সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে তার সন্তানদের সরকারী চাকুরী দিয়েছেন বলেও উক্ত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। জানতে চাইলে ১নং বাদি মইনুল হাসান বলেন, তার পিতার নামে কৃষ্ণনগর মৌজায় সাড়ে ৮শতক জমির মধ্যে ১৯৯২ সালে ৫শতক জমি ফখরুল ও ইকবাল হাসানের নিকট বিক্রি করেন।
পরবর্তীতে তারা ক্ষমতার জোর খাটিয়ে পুরা সাড়ে ৮শতক জমি দখল করে বাড়ি নির্মান করে। বাধা দিতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২নং বাদি শিউলি খাতুন বলেন, জোরপূর্বক জমি লিখে নিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দেয়। কিন্তু বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তার স্বামী শাহাজান আরীর নামে যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা দেয় পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া তার ছেলে রায়হান কবির (১৩) ও স্বামী শাহাজানকে বাড়ি থেকে ডেকে এসে বেদম মারপিট করেছিল এএসপি ফখরুল ও তার ভাই ইকবাল।
দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলগি সরকার ক্ষমতায় ও পুলিশ কর্মকর্তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি বলে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জানিয়েছেন। জানতে চাইলে অভিযুক্ত মকবুল হোসেন বলেন, জমি দখল ও রেজিষ্ট্রিসহ তার নামে দেয়া কোন অভিযোগের সাথে তিনি জড়িত না এবং তার কোন কিছুই জানা নেই।