পাঁচ মাস প্রেম তারপরই ‘বিয়ে’ কিন্তু তিনমাস পর আবার তালাক। এরপরও বিভিন্ন প্রলোভনে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক। শেষ পর্যন্ত যশোরের কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দেয়া হয়েছে তামিম ফারাজী নামের সেই প্রতারক স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর শহরতলীর বিরামপুর গ্রামে। অভিযুক্ত তামিম ফারাজী বিরামপুর ফকিরার মোড়ের সাজ্জাদুর রহমানের ছেলে।ভুক্তভোগী নারী একই এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।
তিনি অভিযোগে বলেছেন,মোবাইল ফোনে পরিচয়ে ওই নারীর সাথে পাঁচ মাস ধরে চুটিয়ে প্রেম করেছেন তামিম ফারাজী। এরপরে পরিবারের সম্পতি ছাড়াই গোপনে একা বিয়ে করেছেন তামিম। এরপরে স্বামী-স্ত্রী একই এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া করে সংসার জীবন শুরু করেন। তিন মাস সংসার করে পরিবারের চাপে ওই নারীকে লোক দেখানো তালাকের নাটক করতে হবে বলে জানায় তামিম। তা না হলে তামিমকে তার পিতা-মাতা জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিবে অথবা বড় ধরণের কোন ক্ষতি করতে পারে বলে স্ত্রীকে জানায়। তবে কয়েকদিন পরে আবার তাকে বিয়ে করবে বলেও জানানো হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই নারীকে তালাক দেন তামিম। তবে তালাক দিলেও তামিম নিজেই একটি ঘর ভাড়া করে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে রেখে দিয়েছেন।
কিন্তু প্রতিনিয়ত তামিম স্ত্রীর কাছে স্বামী পরিচয়ে রাত যাপন এবং শারীরিক সম্পর্ক নিয়মিতই করে চলেছেন। সর্বশেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে তামিম আসেন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর কাছে। এসময় শারীরিক সম্পর্ক করতে চান তামিম। রাজি না হলে ওই নারীকে বিভিন্ন ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক করেন তামিম। কিন্তু এরপরও বিয়ে করতে রাজি নয় তামিম। বিভিন্নভাবে দেনদরবার করেও ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত গত বুধবার কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।