আত্মবিশ্বাসের পারদ এখন বেশ উঁচুতে। চেন্নাইয়ের মানুষের ভাষা বোঝার মতো দুর্ভেদ্য এক চ্যালেঞ্জই হয়তো বাংলাদেশের সামনে।
কিন্তু কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার স্মৃতি তাদের জন্য বেশ নতুন। প্রতিপক্ষ যতই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের এক নম্বর দল হোক, তাদের হারানো সম্ভব এমন একটা অনুভূতি তাই চারপাশে বিরাজ করছে।
ভারতের বিপক্ষে এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টেস্ট শুরুর আগে বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সুযোগ অপেক্ষায়। কিছুদিন আগে পাকিস্তানকে হারানোর স্মৃতি এখনও তরতাজা। মূলত ওই ‘পজিটিভ এনার্জি’কেই ভারতের বিপক্ষে টেস্টেও টেনে আনার সংকল্প টাইগারদের।
এমনিতে কাজটা যে সহজ হবে না, তা জানা সব পক্ষেরই। গত ১১ বছরে একটি টেস্ট সিরিজও ঘরের মাঠে হারেনি ভারত, ম্যাচই হেরেছে স্রেফ চারটি। আরেকদিকে ভারতের বিপক্ষে এখন অবধি ১৩ ম্যাচ খেলে কোনোটিতেই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। যে দুটি দেশের বিপক্ষে এখনও টেস্ট জিততে পারেনি- তার একটি ভারত।
তবে টেস্টে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বেশ আশাবাদী করছে অনেককে। বিশেষত বিদেশের মাঠে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতেছে তারা। শুরুটা হয়েছিল ২০২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে।
এরপর দেশের মাটিতেও কিউইদের হারিয়েছে তারা। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে এসেছে সিরিজ জয়। এখন অবধি বিদেশের মাটিতে ৬৭ ম্যাচের স্রেফ আটটি জিতেছে বাংলাদেশ। তবে আশার কথা, এর চারটিই এসেছে গত তিন বছরে।
চেন্নাইয়ে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হতে পারে বলের জন্যও। দুনিয়াজুড়ে কোকাবুরা বলে খেললেও ভারতে খেলতে হবে এসজি বলে। সাধারণত পুরোনো হয়ে গেলে স্পিনারদের সাহায্য করে এই বল।
এর সঙ্গে ঐতিহ্যগতভাবেই চেন্নাইয়ের উইকেট সাহায্য করে স্পিনারদের। দুই দলের একাদশেই তাই দেখা যেতে পারে তাদের আধিক্য। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ তো আছেনই-তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একাদশে দেখা যেতে পারে তাইজুল ইসলামকেও।
ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে সমীহ করার কথাই জানিয়েছেন প্রতিপক্ষ কোচ গৌতম গম্ভীর। প্রতিপক্ষ, ফল নিয়ে চিন্তা না করে অতীতের ইতিবাচকতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে ভালো করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
কথাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জিতে, এই ফরম্যাটে হারাতে না পারা দলের সংখ্যা দুই থেকে একে নামিয়ে আনতে পারেন কি না শান্তরা- সেটিই এখন দেখার।