যশোরে ৪ সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে গুলি করার অভিযোগে মামলা

যশোর কোতয়ালি থানায় তৎকালীন ৪ সাব ইন্সপেক্টর এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ৫লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে যুবককে গুলি করে পঙ্গু করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে ২০১৪ সালে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে কোতয়ালী থানায় কর্মরত চারজন সাব ইন্সপেক্টর যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া রহিমপাড়ার এক যুবককে আটক। আটকের পর ওই যুবকের কাছে ৫লাখ টাকা পুলিশের দারোগারা।

আদালতের নির্দেশ পেয়ে গত বুধবার রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় ৪ দারোগার বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছে কোতয়ালী থানার সাবেক এসআই জামান,এসআই শোয়েব, এসআই শেখ আজগর ও এস আই বর্তমানে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ আমির আব্বাস। মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া রহিমপাড়ার মৃত রমজান মোল্যার মেয়ে ও মৃত আছমত মোল্যার স্ত্রী নুরজাহান বেগম খুকি। যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়ার আদালতে বাদী মামলা দায়ের করলে আদালত কোতোয়ালি থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, সাবেক দারোগা জামান, সোয়েব,আজগার ও আমির আব্বাসের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র মজনুর বাম পায়ের হাটুর উপরে ঠেকিয়ে দুই রাউন্ড গুলি করে। এরপর তারা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মজনুকে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই সময় মিথ্যা মামলা সাজিয়ে উক্ত মামলায় মজনুকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

পরবর্তীতে মজনু জামিনে বেরিয়ে এসে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে সর্বশেষ যশোর রেলরোডস্থ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা করার এক পর্যায় ক্ষত স্থানে পচন ধরায় বাম পায়ের হাটুর উপর অস্ত্র পচার করে বাম পা সম্পূর্নভাবে কেটে ফেলতে বাধ্য হয় এবং মজনুর অঙ্গহানী ঘটে। বাদি তার ছেলে মজনুর পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থা দেখে এবং তার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে এবং স্থানীয় লোকজনদের জানিয়ে মামলা রুজু করেন। উল্লেখিত পুলিশ কর্মকর্তা তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটায় বলে বাদি মামলায় উল্লেখ করেন।

সেই সময় রাজনৈতিক অবস্থা বাদি ও তার ছেলের অনুকুলে না থাকায় মামলা করা সম্ভব হয়নি। বাদি থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহন না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। বাদির ছেলের জখমী সনদপত্র মামলার সাথে দাখিল করেন।