যশোরে মহাসড়ক গুলো দ্রুত সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ যশোর সড়ক ভবনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার সমন্বয়ক রাশেদ খান।
যশোর সড়ক ভবনের প্রধান ফটক বন্ধ করে সেখানে সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ সড়ক সংস্কারের পোস্টার লাগিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটকের উপরে ও বিক্ষোভ করে।এ সময় তারা যশোরের সড়ক সংস্কার করা, অর্থ আত্মসাত আ বন্ধ করাসহ নানাবিধ শ্লোগান দেয়। এ সময় জানানো হয় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যশোর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে রাস্তার সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে তাকে এখান থেকে যশোর সড়ক জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
পরে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে আসেন যশোর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া। তাকে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিব্রত বোধ করেন। পরে যশোর ঝিনাইদহ সড়কের রাস্তা সংস্কার বিষয়ে অপর একজন প্রকৌশলী আসলে তাকেও আন্দোলনকারীরা অনিয়মে নিয়ে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন।
এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার বিএম আকাশ , সদস্য সচিব জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তি, জান্নাতুল ফ্লোরা অন্তরা, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ রিজভী, মুখ্য সংগঠক শোয়েব আক্তার, মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন,ফাহিম আল ফাত্তাহ, সুজন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেয়। স্লোগানের মধ্যে ছিল
কমিশন ভাগিদের ঠিকানা এই ‘বাংলায় হবে না`একশন একশন ডাইরেক্ট একশন’
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন
কমিশন ভগিদের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও কমিশন ভগিদের কালো হাত’
‘বিপ্লবীদের অ্যাকশন ডাইরেক্ট একশন’
‘দালালদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট ‘অ্যাকশন
‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যাইতে যেতে দেব না’।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে যশোর জেলার মহাসড়কগুলো ভেঙ্গে চুরে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশে সড়ক সংস্কার ব্যয় অনেক বেশি হওয়ার পরও সড়ক নির্মাণের ২/৩ বছরের মধ্যে ভেঙ্গে চুরে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। সড়ক নির্মাণে যারা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সড়ক নির্মাণের সময় ঠিকাদারের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ পূর্বক সাইনবোর্ড জনসম্মুখে স্থাপনের দাবি জানান। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগের আহ্বান জানান।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি সড়ক সংস্কারে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয়, তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে যশোর থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে হুঁশিয়ারী প্রদান করা হয়।
সমাবেশ চলাকালে যশোর সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আগমন পূর্বক তাদের দাবির সাথে সহমত পোষণ পূর্বক তিনি বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কে সংস্কারের জন্য ৩টি দরপত্র, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সংস্কারের জন্য ২টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন, যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংস্কারের জন্য ৮৯৫ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট এবং যশোর শহরের পালবাড়ী থেকে মনিহার সড়ক সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে তারা ট্রাক মালিক সমিতির নিকট জিম্মি থাকায় সড়কের ওভারলোড করতে পারছেন না বলে তিনি জানান।