যশোরে চেতনা নাশক খাইয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

আবারো অজ্ঞান পার্টি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যশোরের সিরাজ সিঙ্গায় একই রাতে তিন বাড়িতে হানা দিয়েছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা। চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে গেট এবং ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থ স্বর্ণালঙ্কারসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে চক্রটি।

বুধবার দিবাগত রাতে যশোর সদরের সিরাজসিঙ্গা হাতিয়ারহাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, বুধবার নিজেদের বাড়িতে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর থেকে গ্রামের রতন ঘোষ (৪০), স্ত্রী রতœা রাণী(৩৫), ছেলে অনিক(১১) ও মেয়ে অনামিকা (১৫) পরিবারের সকলে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তন্দ্রাচ্ছন্নতা অনুভব করতে থাকে। ফুড পয়েজিং সন্দেহে পরিবারের সকলে বমি করার চেষ্টা করা ছাড়া বিষয়টিকে খুব একটা তোয়াক্কা করেনি।

পর্যায়ক্রমে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়লে রাত আনুমানিক ৯/১০টার দিকে হানা দিয়ে তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ছাগল বিক্রির ও গচ্ছিত নগদ ৫০হাজার টাকা, দুটি স্বর্ণের বালা, রুপার চেন, নুপুর, মোবাইল ও দুটি ঘড়ি সহ আনুমানিক আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ওই অজ্ঞান চক্রের সদস্যরা।

স্থানীয়দের ধারণা, সন্দেহ হবেনা এলাকার এমন কোন ব্যক্তির যোগ সাজসে আগে থেকে ওই বাড়িতে কৌশলে ঢুকে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সবাই ঘুমিয়ে পড়লে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লুট করে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায় অজ্ঞানচক্র। পর্যায়ক্রমে একই গ্রামের স্বর্ণকার চন্দন মিত্রের বাড়িতে হানা দিয়ে গেটের তালা ভেঙ্গে লুটের চেষ্টাকালে বাড়ির লোকজন জেগে যাওয়ায় কিছু না নিয়েই ওই চক্র কৌশলে পালিয়ে যায় বলে তার স্ত্রী জানায়। একপর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে পাশের মৃত আরশাফ মোড়লের ছেলে আসাদুল ও হাফিজুরের বাড়িতে হানা দিয়ে ১৫/২০টি মুরগী নিয়ে যায় ওই অজ্ঞান চক্র। এ ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে চরম অজ্ঞান আতংক বিরাজ করছে। প্রশাসনের সুদষ্টি কামনা সচেতন মহলের।