সনাতনী বা হিন্দু ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহনের মাধ্যমে মমতা রানী নামের এক মেয়ে বিয়ে করেন মেহেদী হাসান নামের এক ছেলেকে। আর তখন থেকে মমতা রানী হয়ে উঠেন মমতা খাতুন। তারা ঝিনাইদহ নোটারী পাবলীকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে বিয়ে করেন গত ১০জুলাই ২০২৪ তারিখে।
বিয়ের ৫মাস যেতে না যেতেই হরষে বিষাদ পরকীয়ার বলি হলো মেহেদী-মমতার প্রেমের দাম্পত্ত। গত ৯ জানুয়ারি মমতা খাতুন নতুন প্রেমিক সাকিলের হাত ধরে অজানার উদ্দ্যেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এদিকে মেহেদী হাসান স্ত্রীকে খুজে পেতে সাকিল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি সংবাদ কর্মীদের স্মরণাপন্ন হয়েছেন মেহেদী। ভিকটিম মমতা রানী ওরফে মমতা খাতুন কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার কমলাপুর গ্রামের লাল্টু দাসের কন্যা এবং মেহেদী হাসান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মো: জাহাংগীর আলমের সন্তান। গত ১০/০৭/ ২০২৪ইং তারিখে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে ৫০হাজার টাকা দেনমহরে তাদের বিয়ে হয়।
মেহেদী হাসানের অভিযোগের সূত্র ধরে খোজ নিয়ে জানা যায়, সাংসারিক অনটনের কারণে মেহেদী হাসানের স্ত্রী মমতা খাতুন কালীগঞ্জের কেয়া ক্লিনিকে আয়ার কাজ করতো। একই সাথে শাকিল নামে একটি ছেলেও সেই ক্লিনিকে কাজ করতো। গত ৯ জানুয়ারি ক্লিনিকে কাজের উদ্দেশ্যে এসে আর মমতা বাড়িতে ফেরত যায়নি। পরে অনেক খোজাখুজি করে মেহেদী জানতে পারে শাকিল ফুসলিয়ে তার স্ত্রী মমতাকে নিয়ে পালিয়েছে।
এসময় বিবাদীর নিকট গচ্ছিত রাখা নগদ ১,৭৫,০০০/- (এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা ও ব্যবহারিত কাপড়, চোপর, ০১টি এনডুয়েট মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে তারা। শাকিল কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের সন্তান। এসব জানার পর মেহেদী মহেশপুর থানায় শাকিলসহ তার সহযোগীদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।
মহেশপুর থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম থানায় অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।