যশোর মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী স্কুলে শিক্ষার্থীদের টিসি দেয়ার ক্ষেত্রে অবৈধ ভাবে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভর্তি করার নাম করে এ টাকা নিচ্ছে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর খান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অভিভাবকরা।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোন শিক্ষার্থী যদি এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণি উত্তীর্ণ হয় তার নির্ধারিত ভর্তি ফি ৩শ টাকা থেকে ৫শ টাকা। আলাদা দিতে হয় সেকনচার্জ। যদি ওই শিক্ষার্থী এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে যদি টিসি নিতে চায়, তাহলে তার কাছ থেকে শুধু ভর্তি ফি নিয়ে টিসি দিতে হবে।
অথচ এ নিয়ম মানেন না মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর খান। তার স্কুলের কোন শিক্ষার্থী যদি এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে হয়ে টিসি নিতে চায়, তাকে জোর পূর্বক ২ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হতে বাধ্য করেন। তারপর টিসি দেন। এধরণের অভিযোগ করেছেন চাঁচড়ার বেলাল হোসেন নামে এক অভিভাবক। তিনি জানান তার ছেলে খালিদ হাসান প্রিপারেটরী স্কুলে ৮ম শ্রেণি পাস করে ৯ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাকে অন্য স্কুলে ভর্তি করবেন বলে টিসি নিতে যান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর তার সন্তানকে নবম শ্রেণিতে ২ হাজার ৫শ টাকা নিয়েজোর পূর্বক ভর্তি করান। তারপর টিসি দেন। এর আগে সদরের শেখহাটির জাহিদল ইসলাম জানান তার ছেলে মোহাইমুল ইসলাম ৫ম শ্রেণি থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার টিসি নেয়ার জন্য গেলে একই রকম ভাবে ভর্তি করানো চাপ সৃষ্টি করেন। পরে পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসানের নির্দেশে টিসি দিতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর জানান তার স্কুলের নিয়ম টিসি নিতে গেলে ভর্তি হয়ে টিসি নিতে হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন জানান যদি কোন শিক্ষার্থী টিসি নিতে চায়। তার কাছ থেকে শুধু ভর্তি ফিসের টাকা নিয়ে টিসি দিতে হবে। এছাড়া বাড়তি কোন টাকা নিতে পারবে না।প্রিপারেটরী স্কুলে বিষয়ে বললে তিনি জানান খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জায়দ হোসেন কোন কিছু বলতে রাজি হননি।