যশোর শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে রোববার থেকে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। আর এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে মাঠে গড়িয়েছে তিনটি ম্যাচ। একটি ম্যাচে ঘটেছে ওয়াকওভারের মত ঘটনা।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল জেলার আটটি উপজেলা শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, সদর, বাঘারপাড়া, অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার বালক ও বালিকা ফুটবল দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। উপজেলার পাশাপাশি যশোর পৌরসভার বালক ও বালিকা ফুটবল দল খেলবে এ আসরে।
কিন্তু উদ্বোধনী দিনে শেষের ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার কথা ছিল শার্শা ও চৌগাছা উপজেলার বালিকাদের। কিন্তু চৌগাছার বালিকারা মাঠে না আসায় ওয়াকওভারের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় মাঠে না আসার বিষয়টিকে অনেককেই হতবাক করছে।
এদিন বালক বিভাগের দু’টি ও বালিকা বিভাগের একটি ম্যাচ মাঠে গড়ায়। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় যশোর সদর ও কেশবপুর উপজেলার বালিকারা। এ ম্যাচে সদরকে ২-০ গোলে হারায় কেশবপুর। দু’টি গোলই করেন তাসমিম নাহার খেলার আট ও আটাশ মিনিটে।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে অংশ নেয় সদর উপজেলা ও কেশবপুর উপজেলার বালকরা। এ ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ছিল ২-২ গোল সমতায়। পরে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জয় পায় সদরের বালকরা। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে সদরের পক্ষে ইয়াসিন আরাফাত নয় ও জিহাদ হোসেন ২৭ মিনিটে গোল করেন। কেশবপুরের হয়ে গোল দু’টি করেন তানজিম রানা ৩৩ ও ৪৭ মিনিটে। তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় চৌগাছা ও শার্শা উপজেলার বালকরা। এ ম্যাচে একক আধিপত্য বজায় রেখে ৩-০ গোলে জয় তুলে নেয় শার্শা উপজেলা। একাই তিনটি গোল করে চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম খেলোয়াড় হিসেব হ্যাট্রিক করেন সাকির হোসেন। তিনি তিন, ২১ ও ২৯ মিনিটে গোলগুলো করেন।
দিনের শেষ ও চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল চৌগাছা ও শার্শা উপজেলার বালিকাদের। শার্শা উপজেলার বালিকারা মাঠে উপস্থিত হলেও চৌগাছার বালিকারা মাঠে উপস্থিত হননি। ফলে ওয়াকওভার পেয়ে জয়ী হয় শার্শা উপজেলার বালিকারা। এর আগে সকালে বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। জেলা ক্রীড়া অফিসার খালিদ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাজিবুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ক্রীড়া সংগঠক নিবাস হালদার।