যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ৩৫তম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রফেসর খোন্দকার কামাল হাসানকে রোববার ওএসডি করেছে মন্ত্রণালয়। গত ৭জানুয়ারিতে তিনি এই বোর্ড এ যোগদান করেছিলেন। মাত্র ১২ দিনের মাথায় তাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসডি করা হলো।
এর আগে এই বোর্ড এর কোনো চেয়ারম্যানকে এমনভাবে ওএসডি হতে হয়নি। অবশ্য তিনি দায়িত্ব নেয়া ৩৪তম বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তারক্রে ওএসডি করা হয়েছিল। সদ্য ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যান ২০২৪ সালের অক্টোবরে ওএসডি হয়েছিলেন, এর মাত্র আড়াই মাসের মাথায় শিক্ষা বোর্ডরে চেয়ামর্যানের তকমা নিয়ে ফিরে এসে ছিলেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোর বোর্ড এ বিষয়টি জানাজানি হয়। সন্ধ্যা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চিঠিটি পান বোর্ড কর্মকর্তারা কর্মচারিরা। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে চিঠিতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব মো. মাহবুব আলম। ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তাকে কর্স্থথল তত্যাগের জন্যে বলঅ হয়েছে।
তবে একটি সূত্র জানায় খোন্দকার কামাল হাসানকে সরিয়ে যার পদায়নের বিষয়টি শোনা গিয়েছে তিনিও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং একই বিসিএস ব্যাচের (১৪তম)। এ নিয়ে পরপর ৪ জন চেয়ারম্যান একই বিশ্ববিদ্যাললয়ের বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় যশোর বোর্ড এ বিষয়টি জানাজানি হলে একপ্রকার অবাক হন কর্মকর্তারা কর্মচারিরা। এতে অনেকেই আনন্দিতও হয়েছেন। তাদের মতে এটা ভালেঅ হয়েছে। ১২ দিন যোগদান করলেও এখনো পর্যন্ত তিনি কর্মকর্তা কর্মচারিদের সাথে পরিচিত হতেও কোনো অনুষ্ঠান করেন নি বা পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করেননি বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। বোর্ড যোগদান করার সময় থেকে তিনি নানা কারণে বিতর্কত ছিলেন।
গত ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে তিনি প্রফেসর মর্জিনা আক্তারের কাছ থেকে দায়িত্বভার বুঝে নিয়েছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে থাকার অভিযোগে ৫ আগষ্টের পর ওএসডি হলেও ফিরে এসেছিলেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে। আজ তার ওএসডির চিঠি আসলো।
সূত্র জানায়,৫ আগস্টের পর গত ২৪ অক্টোবর তিনি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে ওএসডি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশিতে) সংযুক্তি হন।
বিগত সরকারের সুবিধা নেওয়া অধ্যাপক কামাল হাসানের বিরুদ্ধে যেসব অফিযোগ ছিল এর কিছু ইতোমধ্যে সারাবাংলা ডট নেটে এ প্রকাশিত হয়। দ্রুত পদোন্নতিসহ অর্থনৈতিক সমস্যা, জুলাই আগস্টেরছাত্রজনতা বিপ্লবের সময় আন্দোলনের বিপক্ষে কাজ করাসহ নানা অভিযোগ ছিল।