‘জিয়াউর রহমানের কর্মস্পৃহার কারণে বিএনপি আজ জনগণের দল’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সৎ এবং দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্মস্পৃহা এবং নেতৃত্বের কারণে বিএনপি আজ বাংলাদেশে জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি গঠন করেছিলেন সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। তিনিই একমাত্র সৈনিক যিনি জীবিত অবস্থায় সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব অর্জন করেছিলেন।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে যশোর জেলা বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীরউত্তম) ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানকে শেখ হাসিনা অখ্যাত মেজর হিসেবে যে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জনগন তা কোনো অবস্থায় মেনে নিতে পারেনি। আর মেনে নিতে পারেনি বলেই ১৯৯১ সালে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমেই তার প্রমাণ দিয়েছে। জিয়াউর রহমান সেদিন হঠাৎ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বিষয়টি এমন নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিনি পাকিস্তানের ও সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব অর্জন করেছিলেন। সশস্ত্র বাহিনীতে তিনি বরাবরই একজন সাহসী যোদ্ধা এবং বীরপুরুষ হিসেবে অভিহিত ছিলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত বলেন, ২৫ মার্চের কালরাত্রীর পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন কার্যত আত্মসমর্পণ করেছিলেন তখন দিকভ্রান্ত জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার একটি ঘোষণা “আমি মেজর জিয়া বলছি।” এই কারণেই দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারো পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

দেশের চলমান সংস্কারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার কীভাবে করতে হয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি তার কর্মস্পৃহার মাধ্যমে তার প্রমাণ রেখে গেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংস্কারের কথা অনেক আগে থেকেই উল্লেখ করেছে। খাল খননের মাধ্যমে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাও অর্জন করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট সৈয়দ সাবিরুল হক সাবু, যুগ্ন আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, এডভোকেট জাফর সাদিক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এডভোকেট ইসাহক, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম, নগর বিএনপির সভাপতি মুল্লুক চান, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনজারুল হক খোকন প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু।

এদিকে সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।