তৃতীয় শ্রেনীর এক কর্মচারী ২২ বছর বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মরত!

সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে দীর্ঘ ২২ বছর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কর্মরত রয়েছে। সাদেক আলী নামে তৃতীয় শ্রেনীর এক সরকারী কর্মচারী। এ ব্যাক্তি দীর্ঘ দিন ধরে একই স্থানে চাকুরী করার সুবাদে নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর জাহির করে ঘুষ দূর্নীতিতে মেতেছেন। দূর্নীতি বাজ এ কর্মচারী নিজেকে কাস্টমস এর উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার আত্বীয় পরিচয় দিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলে।

ঘুষ ছাড়া কোন ফাইলের কাজ করেন না। ঘুষ তার কাছে যেন পাওনা টাকা। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে আসা এ অসাধু কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে সে লাইসেন্স শাখার দায়িত্বে আছেন। সু-চতুর ও কর্মচারী নবাগত কমিশনারকে ম্যানেজ করে আরো একটি দপ্তরের দায়ীত্ব বাগিয়ে নিয়েছে। লাইসেন্স শাখার পাশাপাশি সে গুরুত্বপূর্ন শুল্কায়ন গ্রুপ-২ এ কেরানী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে । এতে তার পোয়া বারো । এমনিতে লাইসেন্সের ফাইলে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে থাকে। এখন যোগ হয়েছে শুল্কায়ন গ্রুপ-২ সেখানে বেপরোয়া ঘুষ আদায় করছে। ফাইলে সমস্যা থাকলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ফাইল ছাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে ব্যাবসায়ীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। তার ঘুষ দূর্নীতির বিষয়টি ওপেন বিষয় ।

তার ব্যাপারে কর্মকর্তারা সব জেনেও না জানার ভান করে থাকেন । ঘুষখোর দূর্নীতি বাজ সাদিক আলী নামের তৃতীয় শ্রেনীর ঐ কর্মচারীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে কাস্টমস সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় শ্রেনীর একাধিক কর্মচারী বলেছেন তার দাপটে আমরা অতিষ্ট। ২০০০ সালের দিকে কাস্টমস এ যোগদান করে সাদিক আলী নামের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে যোগদান করে মংলা কাষ্টমস ডিভিশনে সেখান থেকে ২ বছর পর ২০০২ সালের দিকে বদলী হয়ে বেনাপোল কাস্টমস আসে।

সেই থেকে অদ্যাবধি বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কর্মরত । আলাদিনের চেরাগ প্রাপ্ত ঐ কর্মচারী দীর্ঘ প্রায় ২ যুগ একই স্থানে চাকুরী করার অন্যদের সুযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় তাদের মধ্যে নানা অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । একজন সরকারী কর্মচারী কিভাবে ২২ বছর একই স্থানে চাকুরী করে। তার খুঁটির জোর কোথায়? নাকি ঘুষ আদায়ের পারদর্শী তাই কর্মকর্তারা তাকে লালন করে?এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বেনাপোলের সর্বত্র। বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এর দৃষ্টি কামনা করেছেন ভূক্ত ভোগী সি এন্ড ব্যাবসায়ী সহ সংশ্লিষ্টরা।