যশোরে জামাইয়ের প্রতারণার শিকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় নারী

যশোরে জামাইয়ের প্রতারণার শিকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় স্বামীহারা এক নারী। চাকরি ও ব্যবসার কথা বলে ওই নারী কাফিরুন বাশি’র কাছ থেকে জামাই ও তার সহযোগীরা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় দশ লাখ টাকা। টাকা নেওয়ার পর মেয়ে, জামাইসহ তার সহযোগীরা গা-ঢাকা দেওয়ায় কাফিরুন বাশি এখন টাকা উদ্ধারের জন্য যশোরের জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কাফিরুন বাশি যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার আলি বকস্’র মেয়ে।
যশোরের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনে কাফিরুন বাশি জানান, তিনি স্বামীহারা অসহায় একজন নারী। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে তিনি তার একমাত্রা মেয়ে সুমা আক্তার স্মৃতির সাথে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মেহেদী হাসানের (৩৫) বিয়ে দেন। বিয়ের পর মেহেদী হাসান ২০২৪ সালে মৎস্য অফিসে চাকরির কথা বলে তার কাছ থেকে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে মাছের ব্যবসার জন্য ৫ লাখ এবং জমি বন্ধকীর নামে তার দুই সহযোগীর সাথে চুক্তি করে আরও তিন লাখ টাকা নেয়। এভাবে মোট নয় লাখ ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় মেহেদী। এছাড়া তার কাছ থেকে ৩টি চেইনও নিয়েছে। এরপর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছে।
কাফিরুন বাশি জানিয়েছেন, চাকরি-ব্যবসার কথা বলে জামাই মেহেদী হাসান তার কাছ থেকে প্রায় দশ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা ফেরত চাওয়ার পর থেকে তারা গা-ঢাকা দিয়েছে। এমনকি তার মেয়েরও কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। তাই টাকা উদ্ধারের জন্য তিনি যশোরের জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য কাফিরুন বাশির জামাই মেহেদী হাসান, মেয়ে সুমা আক্তার স্মৃতি, জামাইয়ের সহযোগী বিল্লাল হোসেন ও আব্দুল রহমান দুলাল সবার ফোনই বন্ধ পাওয়া গেছে।