চৌগাছায় শিলাবৃষ্টিতে ধানসহ  বিভিন্ন  ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

যশোরের চৌগাছায় শিলাবৃষ্টিতে কৃষকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে  হঠাৎই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়। এতে উপজেলার হাকিমপুর, নারায়ণপুর,ফুলসারা ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়ন ও সিংহঝুলি ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির উঠতি ইরি ধান, লিচু, আম ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রায়  ১ ঘন্টা   ধরে চলা শিলাবৃষ্টিতে  কোথাও কোথাও শিলার স্তুপ জমে বরফের মতো সাদা হয়ে যায়। হঠাৎ শিলাবৃষ্টির সাথে শুরু ঝড়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে।
শিলা বৃষ্টির কারণে জমির উঠতি ইরি ধান, পাট, লিচু, আম, পটল, করলাসহ, মুকি  কচু বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলের রাজধানী ক্ষ্যাত চৌগাছায় শিলা বৃষ্টিতে সদ্য গুটি আসা মাল্টা চায়না লেবু ও লিচু বাগানে ক্ষতির পরিমান সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে ফল চাষি হাবিবুর রহমান।
সিংহঝুলি ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রেসক্লাব চৌগাছার সহ-সভাপতি রহিদুল ইসলাম খান জানান,  দুপুরে  দুই টার দিকে  ঘন্টা ব্যাপী   শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে গ্রাম।
তিনি বলেন, এলাকায় আমা ও লিচুর ব্যাপাক ক্ষতি হয়েছে।  তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইরি ক্ষেতের , পাট পটলে চাষীদের।  এছাড়া শিলা বৃষ্টিতে টিনের ঘর গুলো ফুটো হয়ে গেছে।
সিংহঝুলি গ্রামের ধান চাষি টনি রাজ, সাইফুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমানসহ অনেকেই জানান তাদের গ্রামের মাঠে উঠতি বোরো ধান প্রায় ৪০ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে।
তবে ফুলসারা ইউনিয়নের সলুয়া মাঠের কোনো কোনো ক্ষেতে ৭০ ভাগ ধান শিলাবৃষ্টিতে ঝরে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ফল চাষি তারেক শেখ   জানান, তার চার বিঘা জমিতে মাল্টা বাগান রয়েছে। তার বাগানে সদ্য আসা গুটিগুলা শিলাবৃষ্টিতে ঝরে গেছে।
কয়ারপাড়া গ্রামের পটল চাষি আবু কালাম জানান, শিলাবৃষ্টির কারনে তার ক্ষেতের পটলের মাচার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোশাব্বির হোসাইন বলেন, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতে কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলা বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে দ্রæত প্রণোদনার আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।