বঞ্চনার মাঝে অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরনীয় দিন মে দিবস। এ উপলক্ষে দিনটিকে উদযাপন উপলক্ষে বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সংগঠনগুলি র্যালি ও আলোচনা করে। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এবং বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ ও ৮৯১ এর যৌথ আয়োজনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজিত র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মো. আজিজুর রহমান। এবং বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন এর নেতৃত্ব দেন ৯২৫ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক সহিদ আলী। এ সময় শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজি নাজিফ হাসাও র্যালিতে অংশগ্রহন করেন।
র্যালি শেষে বেনাপোল স্থল বন্দরের তিন নং গেটে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বেনাপোল ৮৯১ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক মাকসুদুর রহমান রিন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা জাতিয়তাবাদি দলের (বিএনপির) সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন। এ সময় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবু তাহের ভারত, বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর বিএনপির সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার, শার্শা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, য্গ্মু আহবায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদ, বেনাপোল পৌর যুবদলের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু , সদস্য সচিব রায়হানুজ্জামান দিপু শার্শা উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম চয়ন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক শহিদ আলী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন এর কোন শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না। এই শ্রমিকদের নিয়ে কোন রাজনৈতিক মিছিল সমাবেশ করা যাবে না। এর আগে শেখ আফিল উদ্দিন এই শ্রমিকদের নিয়ে রাজনৈতিক মিছিল বিভিন্ন সভা সমাবেশ বোমাবাজি করে বেনাপোলের বদনাম করেছে। এছাড়া আওয়ামীলীগে আমলে শ্রমিকদের নিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করতেও ভুল করেনি স্বনামধন্য শিল্পপতি আফিল উদ্দিন। তিনি তার লোক মারফত শ্রমিকদের নিকট থেকে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে এক একজন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা চাই বেনাপোল শান্ত থাকুক। শ্রমিকরা তাদের মাথার ঘাম পায়ের ফেলে পয়সা উপার্জন করেন। তা দিয়ে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চলেন। আর সেই শ্রমিক এর অর্থ বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের নাম ধারী সন্ত্রাসীরা লোপাট করেছে। গড়ে তুলেছে আলিশান বাড়ি। আমরা আর এ ভুল করতে চাই না। বেনাপোলে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে এই বন্দরকে সচল রাখতে হবে এবং শান্ত বেনাপোল গড়ে তুলতে হবে।