যেভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে খালেদা জিয়াকে

চার মাস পর মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে দলটির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলের বার্তা হলো: অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে কোনো যানজট সৃষ্টি না করে একহাতে জাতীয় পতাকা এবং আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে দেশনেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন তাকে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে বলে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অত্যন্ত শৃঙ্খলভাবে যানজট সৃষ্টি না করে রাস্তার দুই ধারে দলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন। নেতাকর্মীরা এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন খালেদা জিয়াকে। ’

সাধারণের চলাচলের জন্য ওইদিন বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত মূল সড়ক এড়িয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারেরও অনুরোধ জানান বিএনপি মহাসচিব।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি তাকে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অবস্থান

সংগঠনের নাম অবস্থান:

* মহানগর উত্তর বিএনপি, বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল।

* ছাত্রদল, লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত।

* যুবদল, খিলক্ষেত থেকে হোটেল রেডিশন।

* মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, হোটেল রেডিশন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম।

* স্বেচ্ছাসেবক দল, আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান।

* কৃষক দল, বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড়।

* শ্রমিক দল, কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল।

* ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল, বনানী শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার।

* মুক্তিযোদ্ধা দল ও সব পেশাজীবী সংগঠন, বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২।

* মহিলা দল, গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড।

* বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা, গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড।

* বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মী, যার যার সুবিধামতস্থানে অবস্থান করবেন।

বিমানবন্দর ও চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সব নেতাকর্মী দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার একপাশে দাঁড়াবে। চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেল এবং হাঁটা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ।