‘একরাম নির্দোষ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন’

kader 213ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একরাম আমাদের দলের কর্মী। একরামের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমি বলেছি।যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় একরাম নির্দোষ, ওখানে যারা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন তারাই দোষী সাব্যস্ত হবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়া হবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্যাকেজ-৭-এর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কি র‌্যাবের বড় অফিসাররা বাদ গেছে? তাদের ফাঁসির অর্ডারও হয়েছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

বিএনপি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অভিযোগ আর নালিশের, আর কোনো সম্বল নেই। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছে, তার খেসারত দিচ্ছে, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের সামনে শুধু হতাশা। এ হতাশা থেকেই আবোল-তাবোল বলছে। যখন এ অভিযান (মাদকবিরোধী) জনগণের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, জনগণ খুশি এবং এ অভিযানে সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাই স্বাভাবিক কারণেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। সরকারের ভালো কাজে জনপ্রিয়তা বাড়ছে তা তারা সইতে পারছে না, হজম করতে পারছে না। তাই বিএনপি এ অভিযানের বিরুদ্ধে যা খুশি তা বলে বেড়াচ্ছে।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ক্রসফায়ারকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়েছেন, তা কিভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাদের বিবৃতি দিতেই পারেন, সমালোচনা করার অধিকার সকলেরই রয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করছি মাদকবিরোধী অভিযান সর্বাত্মক রূপ নিয়েছে, দেশের জনগণ খুশি। কারণ দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে যে মাদক, তা থেকে তাদের (তরুণ) রক্ষা করার জন্য এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কাজেই সমালোচকরা সমালোচনা করুক। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি দেশের জনগণ ও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। কারণ, তরুণরাই হচ্ছে দেশের ভবিষ্যত, তারা ধ্বংস হলে দেশের ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যাবে।

ঈদের পরে দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হবে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানতো চলছেই। দুদককে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ রাঘববোয়াল হোক, চুনোপুটি হোক তাকে ধরার জন্য জাল বিছানো হয়েছে। দুদককে স্বাধীনতা দেয়ার কারণেই আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের তলব করা হচ্ছে। কাজেই দুদকের স্বীধনতা আছে এবং তা কাজে লাগাবে বলে আমরা আশা করছি।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবো না। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণের অধিকার রয়েছে, তা তারা করুক। আমাদের বিদেশি কোনো বন্ধু পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে করুক। যতদিন প্রয়োজন হয় অভিযান চলবে।

যতক্ষণ না সর্বনাশা মাদকের ছোবলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ততদিন অভিযান চলবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।মাদকের গডফাদারদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সহায়তা করছে সরকার বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিতেও আছে কি না তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বদির মতো আর কত বদি এ দেশে আছে। বদি মাদকের গডফাদার এটা আপনি সরাসরি বলতে পারেন? প্রমাণ কি? প্রমাণ করুন। প্রমাণিত হলে বদিকেও ছাড় দেয়া হবে না।