কলকাতার টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ড পেলেন ববিতা ও চম্পা

bobita chompaবিনোদন ডেস্ক: ববিতা, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গর্ব। ১৯৬৮ সালে চলচ্চিত্রে আসা এই নায়িকা চলচ্চিত্রে অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গেই শুধু আপন দেশ নয়, বিশ্ব জয় করে নিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে কলকাতার প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে শুধু বাংলাদেশ ভারত নয়, নিজের অর্জনের পরিধি বিস্তৃত করেছিলেন বিশ্বে। কুড়িয়েছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি আর সম্মাননা। দেশে একাধিকবার জাতীয়সহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে লাভ করেছেন আজীবন সম্মাননা। দেশ জয়ের পর আবারও তার বিদেশ জয়। এবার কলকাতার গৌরবময় টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড পুরলেন অর্জনের ঝুলিতে।

রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরের নজরুল মঞ্চে ববিতার হাতে তুলে দেওয়া হয় টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডের ১৭তম আসরের আজীবন সম্মাননা। শুধু ববিতা নয়, তার বোন অভিনেত্রী চম্পাকেও দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। চম্পা ওপার বাংলায় গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝিসহ আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করে আগেই সম্মান বয়ে এনেছেন। টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডের আয়োজক, উদ্যোক্তা ‘এই অ্যাওয়ার্ড’র সেক্রেটারি মৃন্ময় কাঞ্জিলাল’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ববিতা ও চম্পার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক এই ‘আজীবন সম্মাননা’ পেয়ে মঞ্চে অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ববিতা।

অভিভূত ববিতা বলেন, ‘আমার আজকের এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। আমি সবসময়ই গর্ববোধ করি একজন বাংলাদেশি হিসেবে। কলকাতায় এমন সম্মাননায় ভূষিত হয়ে আমি সত্যিই ভীষণ আনন্দিত, গর্বিত। আমার বাংলাদেশের দর্শকের জন্য এই সম্মাননা উৎসর্গ করছি। কারণ তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় আমি আজকের ববিতা। ভীষণভাবে আজ মনে পড়ছে সত্যজিৎ রায়ের কথা। কারণ তার নির্মিত চলচ্চিত্র অশনি সংকেতে অভিনয় করেই আমি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ পরিচিতি লাভ করি। চম্পাও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই প্রাপ্তিতে।