চট্টগ্রামে ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য হাহাকার, দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নতুন রেলওয়ে স্টেশন। হাজারো মানুষের ভিড়। টিকিট চাই। কারো একটি বা দুটি, কারো চারটি। ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনের টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। কাউন্টার পর্যন্ত গিয়ে কেউ পাচ্ছেন আবার কেউবা হতাশ হয়ে ফিরছেন শূন্য হাতে।

বুধবার রেলের অগ্রিম টিকিট দেওয়ার শেষ দিনে এই দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে স্টেশনে। মঙ্গলবার রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বুধবার সকালে অনেকেই টিকিট পেয়ে আনন্দে হেসেছেন। আবার বুধবার সকালে টিকিটের জন্য এসে শত শত মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখে নিরাশ হয়ে ফিরে গেছে অনেকে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবুল কালাম আজাদজানান, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিন বুধবার। এই শেষ দিনের টিকিটের চাহিদাও ব্যাপক। তাই হাজারো মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি। ঈদ উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত ৯০টি কোচ যুক্ত হচ্ছে রেলে। তাই বাড়তি আসনের টিকিটও বিক্রি করা হচ্ছে। অধিকাংশ মানুষই টিকিট পেয়েছেন চাহিদামতো।অনেক সুশৃঙ্খলভাবে এবার রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সম্ভব হয়েছে বলে স্টেশন ম্যানেজার জানান।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, বুধবার পর্যন্ত ১২টি ট্রেনের ৯ হাজার ৫২২টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছে। সব টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষ্যে নিয়মিত ট্রেনের বাইরে দুটি অতিরিক্ত ট্রেন যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত ট্রেনে ১৬টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করেই বাড়তি টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

সব টিকিট বিক্রি না করে কোটাভিত্তিক কিছু টিকিট রিজার্ভ রাখার কথাও জানান স্টেশন ম্যানেজার।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অগ্রিম টিকিট কিনতে আসা যাত্রী আসমা সুলতানা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে বুধবার সকালে ঈদের আগের দিনের চারটি টিকিট হাতে পেয়েছেন।আসমা বলেন, ‘কষ্ট হলেও ঈদ যাত্রাটা সুন্দর হবে।’ একইভাবে টিকিট হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা অনেক যাত্রী। তবে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিট পাননি বলে জানান।