যশোরে বিশ্ব বাবা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিসভা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর: আগামী ১৭ জুন ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছায় প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিবস উদযাপিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় যশোরে তৃতীয়বারের মত উদযাপিত হতে যাচ্ছে ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। এ উপলক্ষে বিশ্ব বাবা দিবস উদযাপন পর্ষদ যশোরের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে যশোর ইনস্টিটিউটের শিশু চিত্ত বিনোদন কার্যালয়ে প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়।

babaঈদের ছুটির কারণে বাবা দিবসের নির্ধারিত দিনে অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে যশোরে এবছর ২২ জুন শুক্রবার এ দিবস উদযাপন করা হবে বলে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ শিক্ষক তারাপদ দাস। সঞ্চালনা করেন বিশ্ব বাবা দিবস উদযাপন পর্ষদ যশোরের আহবায়ক প্রণব দাস।

এ দিবস উদযাপন আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা করেন কলামিস্ট আমিরুল ইসলাম রন্টু, সনাক যশোরের সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দাস, সুরধুনী যশোরের সভাপতি হারুণ অর রশীদ, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান, সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এড. মাহমুদ হাসান বুলু, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, স্পন্দনের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সপ্তসুরের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মামা রফিক, চারুশিল্পী পরিষদ যশোরের যুগ্ম আহবায়ক কাজী ইসরাত সাহেদ টিপ, শেকড় যশোরের প্রতিনিধি নূর ইমাম বাবুল, সংস্কৃতজন সোমেশ মুখার্জী, শওকত শাহী, সৈয়দ আহসান কবীর, চঞ্চল কুমার রায়, বিমল সরকার প্রমুখ।

আলোচকবৃন্দ বলেন, আপাতদৃষ্টিতে অনেকের কাছেই মা দিবস বা বাবা দিবস উদযাপন বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায় না। তাই বলে এ ধরণের দিবসগুলো যে অপ্রয়োজনীয়, তেমনটা বলা যাবে না। সন্তানের জন্য বাবার ভালোবাসা অসীম। বাবা তার সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করে। যা কোন মাপকাঠি দিয়ে মাপা যাবেনা। তাই বাবা দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে পিতাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানানোর। তাছাড়া বাবা দিবস উদযাপনের ফলে সমাজে এবং পরিবারে পিতাদের যে অবদান তা যে সমাজ এবং নিজের সন্তানরা মূল্যায়ন করছে, এ বিষয়টিও বাবাদের বেশ আনন্দ দেয়। তাছাড়া অনেক সন্তানই আছে, যারা পিতা-মাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। মা দিবস বা বাবা দিবস তাদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে বাবা-মায়ের প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে মা দিবস বা বাবা দিবসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। মোটকথা পরিবার তথা সমাজে পিতার যে গুরুত্ব তা আলাদাভাবে তুলে ধরাই এ দিবস উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য।

আলোচনা সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে তারাপদ দাসকে আহবায়ক ও প্রণব দাসকে সদস্য সচিব করে বিশ্ব বাবা দিবস উদযাপন পর্ষদ-২০১৮ কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও অর্থ, অনুষ্ঠান, সম্মাননা প্রদান, আপ্যায়ন ও প্রচার উপ-কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে বাবা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শিশুদের চিত্রাংকন ও বাবার কাছে খোলা চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা, বাবা ও সন্তানের আড্ডা, বাবাদের সংবর্ধনা ও সম্মননা প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চিত্রাংকন ও বাবার কাছে খোলা চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা কালেক্টরেট স্কুলে ২২ জুন সকালে অনুষ্ঠিত হবে। বাকী অনুষ্ঠানগুলো বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনের আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।