বিনোদন ডেস্ক: বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর সে কারণে তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ বছর জানুয়ারি মাসে এই পরিকল্পনা করেন ভারতের কুখ্যাত দুষ্কৃতি লরেন্স বিষ্ণোই। শুরুতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় যোধপুরে। কিন্তু পরে পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়। তখন এ কাজে তিনি নিয়োগ করেন তার দলের বিশ্বাসী সম্পত নেহরাকে। সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই পরিকল্পনার ব্যাপারে সব তথ্য জানতে পারে হায়দরাবাদ পুলিশ।
এদিকে এই পরিকল্পনার কথা জানার পর সালমান খানের বাসা ও তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
হরিয়ানা পুলিশের ডিআইজি এসটিএফ সতীশ বালান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সম্পত নেহরা মুম্বইয়ে সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে এই নায়ক ও অ্যাপার্টমেন্টের অন্যদের গতিবিধি কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। বাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখেন। এই সময় সালমান খান বাসার ব্যালকনিতে এসে দাঁড়িয়ে বাইরে অপেক্ষা করা ভক্তদের উদ্দেশে হাত নেড়েছেন। তখন সম্পত নেহরা রাস্তা থেকে ব্যালকনির দূরত্ব অনুমান করেন। চূড়ান্ত আক্রমণের আগে আরও একবার সেখানে যাওয়ার কথা ছিল নেহরার। সেভাবেই লরেন্স বিষ্ণোইর সঙ্গে বসে সালমান খানকে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা সাজিয়েছেন।
নেহরা জানিয়েছেন, সালমান খানকে হত্যার এই পরিকল্পনার সঙ্গে আরও ছয়জন জড়িত আছেন। তিনি ধরা পড়লেও এই ছয়জন বাইরে আছেন। তারা এই হত্যাকা- ঘটাবেই। সম্পত নেহরার বাড়ি হরিয়ানায়। মুম্বইয়ে সালমানের বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের জানিয়েছিলেন, তিনি সালমান খানের একজন বড় ভক্ত। একবার তার সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করতে দেননি নিরাপত্তারক্ষীরা।
এদিকে হায়দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ব্যাপারটির ওপর তারা নজর রেখেছেন। মুম্বই থেকে সম্পত নেহরা যখন হায়দরাবাদে ফিরে আসেন, তখন দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।