ছোট্ট ঘরটিতে ঢুকেই কেঁঁদে বুক ভাসালেন নেইমার

naymarস্পোর্টস ডেস্ক: এখন তার জীবনে ‘অভাব’ বলে কোনো শব্দ নেই। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার তিনি। বিশাল অংকের আয় করেন। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত তার। অভাব নেই ললনাদের। কিন্তু একসময় এমন ছিল না ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারের জীবন। তখন ছিল শুধু সংগ্রাম আর বেঁচে থাকার প্রবল চেষ্টা। সেই সময়ের স্মৃতিগুলো যদি এক ধাক্কায় হুট করে চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়, তাহলে কী অনুভূতি হতে পারে একজন মানুষের?

অনেকেই বলে থাকেন, মানুষ বড় হয়ে গেলে নাকি তাদের অতীত ভুলে যায়। না, নেইমার তার সংগ্রামী জীবনকে ভুলে যাননি। তাই হঠাৎ শৈশবে ফিরে গিয়ে কেঁদে বুক ভাসালেন তিনি। সাও পাওলোর সেন ভিনসেন্তে কেটেছে নেইমারের শৈশব। এত বছর পর সেই বাড়িটি যেন তিনি খুঁজে পেলেন। আসল বাড়িটি নয়; আসলে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়েছে নেইমারের প্রথম বাড়ির রেপ্লিকা। সেই ‘নকল’ বাড়িটিতে পা দিয়েই যেন নেইমার ফিরে গেলেন শৈশবে।

নেইমারদের আগের বাড়িটি যেমন ছিল, ঠিক তেমনভাবেই সাজানো হয়েছিল রেপ্লিকা বাড়িটি। তারপর নেইমার ও তার মাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। তার ছেলেবেলার অনেক স্মৃতিই ধরে রাখা হয়েছে সেখানে। যেসব শটস পরে সেই বেলায় ছোট্ট ছেলেটি খেলেছে, সেগুলো সাজিয়ে রাখা পরম যত্নে। ট্রফি কেসে রাখা তার তখনের অর্জন করা ট্রফিগুলো। এসব স্মৃতি দেখে আর সহ্য করতে পারেননি নেইমার। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার, প্রতিপক্ষ রক্ষণের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন!

এই অনুষ্ঠানটি তৈরি করা হয়েছিল নেইমার যখন পায়ের মেটারসালের ইনজুরিতে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। নেইমারের বাবা-মা এবং বোন টিভি প্রযোজককে সহায়তা করেছেন তার পুরোনো বাড়িটি বানাতে। পরিবারের পুরোনো ছবি থেকে আগের বাড়িটি সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া গেছে। গত শনিবার নেইমাররা যখন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ব্রাজিলে প্রচারিত হয় অনুষ্ঠানটি। এমন চমৎকার একটি আইডিয়া আনার জন্য টিভি চ্যানেলটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্রাজিল সুপারস্টার।