রেমিট্যান্সে কর বসানোর সিদ্ধান্ত গুজব: এনবিআর

nbrঢাকা: ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভ্যাট ও কর বসানো হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়েছে একটি মহল। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে বুধবার সু-স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচার স্রেফ গুজব।

এনবিআরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন স্বাক্ষরি পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপিত হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রচার হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব।

এতে বলা হয়, দেশের বৈধ রেমিট্যান্স প্রবাহ বন্ধ করে হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের উদ্দেশে এ প্রচারণা চালানো হতে পারে বলে মনে করে এনবিআর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর আরোপিত হয় পণ্য বা সেবা সরবরাহের ওপর। বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশের বাইরে কঠোর শ্রমের মাধ্যমে যে সেবা দিয়ে থাকেন তার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। এ সম্পূর্ণ কার্যক্রম মূল্য সংযোজন কর আইন- ১৯৯১ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২(ক) মোতাবেক সেবা রফতানি হিসেবে বিবেচিত।

‘সুতরাং এ রফতানি কার্যক্রম ভ্যাটের আওতাবহির্ভূত। অর্থাৎ রেমিট্যান্স সীমা নির্বিশেষে এ খাতের ওপর কোনো ভ্যাট প্রযোজ্য নয়। তাই প্রবাসীরা বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে যেকোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন’ যোগ করা হয়।

এনবিআর মনে করে, অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠানো হলে তা জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে না। তাই হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হুন্ডি বা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে সবসময় সতর্ক রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।