ডেস্ক রিপোর্ট: নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান’আমি পদত্যাগ করবো না। এটা বিএনপির দাবি। বিএনপির কথায় আমি পদত্যাগ করবো না। জনগণ আমার পদত্যাগ চায়নি, ছাত্ররাও আমার পদত্যাগ চায়নি। তবে জনগণ চাইলে আমি পদত্যাগ করবো।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বললে আমি পদত্যাগ করবো।’
উল্লেখ্য, রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এ সময় তিনি হেসে হেসে এ বিষয়ে দায়ীদের শাস্তির কথা জানানোর পাশাপাশি এ দুর্ঘটনার সঙ্গে ভারতের মহারাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হওয়ার তুলনা করেন। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের নেতা হিসেবে নৌমন্ত্রীর প্রশ্রয়ে বাসের চালক ও হেলপাররা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে–এমন অভিযোগে শাজাহান খান হেসে হেসে বলেন, ‘আজকের বিষয়ের সঙ্গে এটি রিলেটেড নয়। মহারাষ্ট্রে এক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হলেও কোনও হৈ চৈ হয় না। অথচ বাংলাদেশে সামান্য কিছুতেই হই চই হয়।’ তার এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রীও তাকে তিরস্কার করেন।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর নৌমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনা হত্যা নাকি দুর্ঘটনা। এই প্রশ্নে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যেটা হত্যা, সেটা হত্যা। আর যেটা দুর্ঘটনা, সেটা দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে।’