বাঁহাতের কনিষ্ঠ আঙুলে পুরনো ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সাকিব আল হাসানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ব্যথানাশক ইনজেকশন দিয়ে খেলেছেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। সফল মিশন শেষে যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচার করে ব্যথামুক্ত হতে চাচ্ছেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে ব্যথা পান সাকিব। ফলে লংকানদের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিস করেন তিনি। এরপর নিদাহাস ট্রফির শেষ দুই ম্যাচে মাঠে নামেন। পরে আফগানিস্তান সিরিজের পর ক্যারিবীয় সফরে গেলে ফের সেই ব্যথা দেখা দেয়। তাই ব্যথানাশক ইনজেকশন দিয়ে খেলেন এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন সিরিজের দুটি জিতে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। নিউইয়র্ক থেকে দুবাই হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান লিটন-মোস্তাফিজরা। তাদের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে শুধু সাকিব। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। কথা বলেন নিজের ইনজুরি নিয়েও, অস্ত্রোপচার করে স্থায়ী সমাধান চাচ্ছি। আর সেটা দ্রুতই করতে চাই। কারণ পূর্ণ ফিট না হয়ে আমি খেলতে চাই না।কাজেই সেভাবে চিন্তা করছি। এশিয়া কাপের আগেই অস্ত্রোপচার করাতে চাই।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়াবে এশিয়া কাপ। অস্ত্রোপচার করালে সেই টুর্নামেন্টে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে সাকিবের। বিশ্বস্ত সূত্রমতে, এখন অস্ত্রোপচার করা হলে তাকে ন্যূনতম ২ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
তবে দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে চাইছেন সাকিব, আমার সার্জারি করা লাগবেই। এখন সেটি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। কোথায় করলে ভালো হবে, কখন করলে সুবিধা হয় তা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলা ভালো।