সাগরে নিম্নচাপ, ৩ নম্বর সতর্কতা

মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান বলেন, “উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি সামান্য পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে উপকূলীয় উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় স্থল মৌসুমী নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।”

লঘুচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, “উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর বিরাজমান রয়েছে।

বুধবার বর্ষা মৌসুমের শেষদিনে অর্থাৎ ৩১ শ্রাবণ দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে টাঙ্গাইলে ৪৮ মিলিমিটার।

বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।