যোগীর রাজ্যে প্রকাশ্যে কুরবানি ও ছাগলের সঙ্গে সেলফি নিষিদ্ধ

পবিত্র ঈদুল আযহা ভারতে ‘বকরি ঈদ’ হিসেবে পরিচিত। এই ঈদে প্রকাশ্যে পশু হত্যা করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই রাজ্যে পশু কুরবানি দেয়ার সময় পশুর (ছাগল) সঙ্গে সেলফি তোলাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ও জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশ দেন যোগী। তিনি বলেন, রাজ্যের কোথাও যেন প্রকাশ্যে পশু হত্যা না হয়। এমনকি পশু হত্যার পর ড্রেন দিয়ে যেন রক্ত না বয়ে যায় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে জেলা শাসকদের।

কোথাও যদি প্রকাশ্যে পশু হত্যার অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

ইতাওয়াহ ঈদগাহের প্রধান ইমাম কামালুদ্দিন আশরাফ বলেন, ‘আমরা সবাইকে প্রকাশ্যে পশু কুরবানি না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। একই সঙ্গে তাদেরকে শান্তভাবে কুরবানি দিতে বলেছি, যেন এটা কোনো প্রদর্শনীর বিষয় না হয়ে ওঠে এবং হিন্দু ভাইদের অনুভূতিতে কোনো আঘাত না লাগে।’

‘একই সঙ্গে আমরা কুরবানির পশুর সঙ্গে সেলফি তোলারও বিরোধী। মানুষকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে এগুলো শেয়ার করতে নিরুৎসাহিত করেছি’ যোগ করেন তিনি।

এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, হত্যার আগে ও পরে সেই পশুর (ছাগল) সঙ্গে সেলফি তোলাও যাবে না। গরু কুরবানিতে বিধিনিষেধ থাকায় ভারতের মুসলিমরা সাধারণত ছাগল কুরবানি দিয়ে থাকেন।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক মন্ত্রীর বক্তব্য, কয়েক বছর ধরে পশুকে কুরবানি দেওয়ার আগে ও পরে তার সঙ্গে সেলফি তোলার প্রবণতা বেড়েছে। এটা অন্য ধর্মের লোকেদের ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে বলা হয়েছে, যেসব জায়গায় হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মেরই লোকের বাস, সেখানে বুধবার বেশি পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। কোনো রকমের অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে পুলিশকে। কেউ এই নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশকে।