ভারতে অনুষ্ঠেয় আফগানস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্ট সিরিজের কথা নিশ্চয় ভুলে যাননি বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। রশিদ-মুজিব-নবীদের ঘূর্ণী বোলিংয়ে নাকানিচুবানি খেতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। আসন্ন এশিয়া কাপেও রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবী যে বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হবেন, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকারের মনে। তবে এবারের ফর্ম্যাশন ওয়ানডে হওয়ায় বাঁহাতি এই ওপেনার বেশ আত্মবিশ্বাসী।
এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। গ্রুপের সেরা দুই দল খেলবে সুপার ফোরে। কাজটা যে সহজ নয় তা ভালো করেই জানেন সৌম্য। যে কারণে মিরপুরে চলছে পুরোদমে প্রস্তুতি। তবে অনুশীলন শেষে গতকাল আশার বাণীই শোনালেন সৌম্য। গ্রুপ পর্বের অন্য দুই দলের চেয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন তিনি, ‘আমি অবশ্যই আমাদের সবার উপরে রাখব। সম্প্রতি আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলেছি তাতে আমাদের ব্যাটিং অন্য দুই দলের (শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান) চেয়ে অনেক বেশি ভালো।’
গত জুনে ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। সিরিজ জুড়ে তিন স্পিনার রশিদ, মুজিব ও নবীর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। লেগ স্পিনার রশিদ ছিলেন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। ৬.১২ গড়ে নেন ৮ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেন মাত্র ৪.৪৫ রান। দুই অফ স্পিনার মুজিব ও নবীও ছিলেন মিতব্যয়ী। দুইজনেই ওভার প্রতি দেন মাত্র ৫ করে। সৌম্য মনে করেন, টি-টোয়েন্টিতে তিন স্পিনার যেভাবে ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেছিলেন ওয়ানডেতে তেমনটা হবে না, ‘ওটা টি-টোয়েন্টি সংস্করণ ছিল, আর এটা ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টিতে পেস বা স্পিন যাই থাকুক, রানের জন্য খেলতে হবে। আর রানের জন্য খেলতে গেলে উইকেট যাবেই। কোনোদিন সফল হবেন আবার কোনোদিন হবেন না।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের বাইরে থাকা এই মারকুটে ওপেনার বলেন, ‘এবার হবে লম্বা খেলা, ৫০ ওভারের। ওয়ানডে কিভাবে খেলতে হয়, এখন আমরা সেটা জানি। এখানে একজন বোলারকে আপনি দেখার সময় পাবেন, টি-টোয়েন্টিতে তা পাবেন না। অবশ্যই এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করেছি যে, কি ঘাটতিগুলো ছিল। কোচের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা আশাবাদী যে, ওদের স্পিনাররা সফল হবে না আমাদের বিপক্ষে।’