পলাশবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনের পরিচয় মিলেছে

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদূরে মহদিপুরের রাইচমিল এলাকায় শুক্রবার রাত পোনে ১২টায় পলাশবাড়ী সড়কে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের সাথে ট্রাক্টরের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৩ জন ও শিশুসহ ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ৪ জনের পরিচয় মিলেছে।

পরিচয় প্রাপ্তরা হলেন, একই পরিবারের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের নাচুনি ঘাগোয়া গ্রামের ইমদাদুল ইসলাম (২৫) এবং তার স্ত্রী কাকুলি খাতুন (২০) ও মেয়ে হেনা খাতুন (৫)। এছাড়া একই ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের আফরুজা খাতুন (৩০)। আহত ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

তারা হলো- সাদুল্যাপুর উপজেলার খামার বোয়ালীয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মুন্নি আক্তার (১৫), সাদুল্যাপুর উপজেলার দক্ষিণ সাহাবাজ নলডাঙ্গা গ্রামের শাজাহান মিয়া (২৬), তার স্ত্রী আখি আক্তার (২৩), কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের আল মামুনের স্ত্রী রুমা আক্তার (১৮) ও একই উপজেলার পশ্চিম ঘরোরিয়া গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে আব্দুল হাই (৫০)। তাদেরকে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কর্মরত শ্রমিকরা সাউদিয়া পরিবহনের (দরবার) কটি বাসে করে গাইবান্ধায় আসে। রাতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সময় বাসটি রাইচ মিল এলাকায় পৌঁছলে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা হালিম ফুডস পরিবহন নামের টাক্টরের সাথে সংঘর্ষ হলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। দ্রুতগামি বাসটি পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর শিশুসহ দুইজন নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে।

পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, খবর পেয়ে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনকবলিত বাস ও ট্রাক্টরটি আটক করা হলেও চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছে। দ্রুত গতি ও চালকের অসাবধনতার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।