সারা দেশে চলমান গ্রেপ্তার অভিযানে কোনো নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তাঁর দাবি, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রেপ্তার যাঁরা হচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ আমাদের কাছে রয়েছে। তাঁরা যদি চ্যালেঞ্জ করে আমরা পরিষ্কার বলতে পারব, কী অভিযোগে তাদের ধরা হয়েছে এবং তিনি কী করেছিলেন, কেন তাঁকে ধরা হয়েছে। আমাদের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আমাদের প্রচুর সাক্ষ্য-প্রমাণাদি রয়েছে, আমরা তাদের ধরছি। তাঁরা নানান অভিযোগে অভিযুক্ত, তাঁদেরই ধরছি। আমরা কোনো নিরীহ লোকজনকে ধরছি না, কোনো নিরপরাধ লোকজনকে ধরছি না।’
এসব গ্রেপ্তার নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে অভিযোগ করছেন, তা মিথ্যা বলেও দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এ ছাড়া এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে।’
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার বাসা থেকে গত বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম জানান, দুলাল নামের এক ব্যক্তি গত বুধবার মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা ও যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৮’ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর পর থেকে ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মোট ২৩৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৫৯ জনের। এ তথ্য তুলে ধরে সড়কে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমিয়ে আনতে ১০ দফা সুপারিশ করা হয়।
