সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকাতে হবে: যবিপ্রবি উপাচার্য

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঠেকানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, একজন টিনএজ বয়সের ছেলে যদি সিনিয়র ভাইদের এভাবে ছুরিকাঘাত করে, সেটা সমাজের অবক্ষয়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই ধরনের অবক্ষয় থেকে বাঁচতে এদেরকে আমাদের ধরতে হবে। সংশোধন করতে হবে। বিচারের আওতায় আনতে হবে।

দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের দুই ছাত্র গুরুতর আহত হওয়ার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, বিচারের সময় যদি দেখা যায় অপরাধীরা টিনএজার, তাহলে তাদের সংশোধনের জন্য প্রশাসন এবং সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। টিএনজার ছেলে-মেয়েদের এটা থেকে বাঁচাতে হবে, তা না হলে সমাজ আরও খারাপের দিকে যাবে।

প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা আমাদের ছাত্রদের আহত করেছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ রকম তুচ্ছ কারণে যদি টিনএজাররা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়, তাহলে সমাজের অবক্ষয় ঠেকানো সম্ভব নয়। সঠিকভাবে বিচারের ব্যবস্থা না করলে দিনদিন এই প্রবণতা বাড়তেই থাকবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তৃতা দেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন, শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, যবিপ্রবির উপ-প্রচার সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান আহমেদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় যশোর শহরের পৌর পার্কে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ছাত্র মাসুম বিল্লাহ ও শামীম হাসানকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে। তাদের মধ্য মাসুম বিল্লাহ গুরুতর আহত। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। মাসুম বিল্লাহের বাড়ি যশোর জেলার মনিরামপুরে আর শামীম হাসানের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাদপুরে।