জাবিতে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশন

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ কর্মসূচী শুরু হয়।

অধ্যাপক মো. শামছুল আলমের সঞ্চালনায় গণঅনশনে জাতীয়তাবদী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান বলেন, অসুস্থ মানুষকে নেয়ার কথা হাসপাতালে। অথচ নেয়া হলো করাগারে স্থাপিত আদালতে।
তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াসহ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে যেভাবে বলপূর্বক দমন করছে, মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এর জবাব জনগণ আগামী নির্বাচনে দিবে।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘যে শেখ হাসিনা সুযোগ পেলেই শহীদ জিয়ার সমালোচনা করে অথচ সে এখন ‘জিয়া আমলে’ কারাগারে কর্ণেল তাহেরের বিচারকে উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবিধান পরিপন্থিভাবে কারাগারের আদালত বসানো হচ্ছে। এর সমুচিত জবাব অতিশীগ্রই দেশের মানুষ দিবে।’ এছাড়াও তিনি সারাদেশে দমন-পীড়নের রাজনীতি ও ইভিএম পদ্ধতির সমালোচনা করেন।

বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় নাজিমমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে অসুস্থ্য করে মেরে ফেলার পাঁয়তারা করা হচ্ছে যা দেশের সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না বলে বক্তারা দাবী করেন। বক্তারা আরো বলেন, অবিলম্বে তাদের জনপ্রিয় এই নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হলে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

পরে বেলা একটার দিকে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছানকে তরল পানীয় পান করিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।

কর্মসূচিতে অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর, অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনুসহ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।