স্বামী-স্ত্রীর বৈরিতায় যেসব ক্ষতি হচ্ছে সন্তানের

প্রত্যেক সংসারে টুকটাক মনোমালিন্য, ঝগড়া থাকেই। তবে মনে রাখবেন যত সমস্যায় থাকুক, সন্তানের সামনে ঝগড়া করা মোটেই উচিত নয়। সন্তানের সামনে নিত্যদিন কথা কাটাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচি চলতে থাকলে সন্তানের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেক সময় তাদের আবেগ, মানসিক ও শারীরিক বিকাশেও তা বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

আসুন জেনে নেই স্বামী-স্ত্রীর বৈরিতায় যেসব ক্ষতি হচ্ছে সন্তানের।

মানসিক ও শারীরিক বিকাশে বাধা

মা-বাবার মধ্যে কলহ ও তাদের বিচ্ছেদের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সন্তানরা। মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, সমাজবিরোধী ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দিকেও ঝুঁকে পড়তে পারে ।

নিরাপত্তাহীনতা

বাবা-মায়ের ঝগড়াতে সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারা বিরক্ত হয়। নিজেকে উপেক্ষিত মনে করে। এর ফলে সন্তানের মনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।

কার কাছে যাবে?

ঝগড়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যখন সন্তানরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। মা-বাবা দুজনই সন্তানের আশ্রয়। কিন্তু তখন সন্তান আশ্রয়হীনতা অনুভব করে। ওই সময় তীব্র মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তারা বুঝে উঠতে পারে না, দোষ কার। কার কাছে যাবে, এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে।

ভবিষ্যৎ

সন্তানরা প্রাথমিক আদবকেতা শেখে তাদের পরিবার থেকে। আর যখন পরিবারটি ভেঙে যায়, তখন তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে দাঁড়ায় অনিশ্চিত। মা-বাবার দ্বন্দ্বের কারণে সন্তানরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে ভয় পায়।

পরিস্থিতি সামলানো

সম্পর্কে টানাপড়েন থাকবে, এটা স্বাভাবিক। তবে একে সুন্দর করে সামলাতে জানা বেশি জরুরি। মা-বাবার একে-অপরের ব্যবহার দেখে সন্তানরা আচরণ শেখে।