পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতের ৩৪ শতাংশ আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়ে ত্রিপুরার পঞ্চায়েতের প্রায় ৯৬ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে বিজেপি। এবার বিজেপির এই জয় নিয়ে সোচ্চার হয়েছে সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের জয় নিয়ে বিজেপিও আদালতে গিয়েছিল। তবে ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে সময়ের অনেক আগেই। ৬ মাস আগে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের পদত্যাগে ‘বাধ্য’ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
সদস্যরা পদ ছেড়ে দেওয়ায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ৩৫৬টি ব্লকের ৩৩৮৬টি আসনে পঞ্চায়েত উপনির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরিয়ে যাবার পর দেখা গেছে, মাত্র ১৬১টি আসনে ৩০ তারিখ ভোট করতে হবে। বাকি সব আসনই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে।
অর্থাৎ নজিরবিহীন ভাবে প্রায় ৯৬ শতাংশ আসনে বিজেপি জিতে গিয়েছে। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাশ বলেছেন, নভেম্বরে জনজাতি এলাকায় স্বশাসিত পরিষদে উপনির্বাচন রয়েছে। পুরসভার কিছু আসনেও অকাল ভোট হবে। সবই বর্তমান সদস্যদের ‘পদত্যাগে’র জের। বিজেপি যে কত বড় ‘গণতন্ত্র ধবংসকারী’ শক্তি, সেটাই এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হচ্ছে।
একই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসেরও। ত্রিপুরায় বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর বলেছেন, সিপিআইএমের নেতৃত্বাধীন বামেরা প্রার্থীই খুঁজে পায়নি।
কমিউনিস্ট মুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে আমরা আর এক ধাপ এগোলাম বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। বিজেপির নেতা রাহুল সিংহের অভিমত, ৯৬ কেন, ১০০ শতাংশ হলেও কিছু বলার ছিল না। ত্রিপুরায় মনোনয়ন দিতে কেউ যায়ই নি। পশ্চিমবঙ্গে তো মেরেধরে মনোনয়ন আটকানো হয়েছিল।