ক্ষমা চাইলেন নিষিদ্ধ সারিকা

অশিল্পী সুলভ আচরণের জন্য মডেল অভিনেত্রী সারিকাকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। গত ২৮ জুলাই সংঠগঠনটির কার্যনির্বাহী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারিকাকে নিষিদ্ধ কার্যকর শুরু হয়েছে গত ১ আগস্ট থেকে।

গত ২১ মার্চ নাটকের শুটিংয়ে নেপাল যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রী সারিকার। সে অনুযায়ী সারিকা সিডিউল দিয়েছিলেন। অগ্রিম পারিশ্রমিক ৫০ হাজার টাকা, রিটার্ন টিকেট ও নাটকের চিত্রনাট্য দেওয়া হয়েছিল তাকে।

আগের দিন ২০ মার্চ সারিকার সাথে শুটিং ইউনিট যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সময়মতো বিমানবন্দর পৌঁছবেন। যথারীতি ২১ মার্চ শুটিং ইউনিট নেপালে রওনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর গেলে সারিকাকে পাওয়া যায়নি। তখন যোগাযোগ করলে সারিকার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সারিকা ছাড়াই শুটিং ইউনিট নেপাল পৌঁছায়। কিন্তু তিনি না থাকায় তাকে নিয়ে পরিকল্পনা করা নাটকগুলো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রযোজক আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন। সম্প্রতি আর কোনো নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি সারিকাকে।

রোববার রাতে নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন সারিকা। সারিকা বলেন, ‘গত কয়েক মাস আমার জীবনে কঠিন সময় গেছে। সামলে নিতে সময় লেগেছে। আমার মেয়েকে স্কুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছিলাম। আগামী সপ্তাহ থেকে সে স্কুলে যাবে। এরপর আবার হয়তো নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং শুরু করতে পারব।’

সারিকা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সরি, পাঁচ অক্ষরের একটা শব্দ। সবার কাছে আজ সত্যি মনের গভীর থেকে মাফ চাইছি—পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী, আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে। কখনো যদি জেনে বা না জেনে এতটুকু আঘাত করে থাকি, অনুগ্রহ করে ক্ষমা করবেন। আমার চারপাশের কঠিন পরিস্থিতি ও শারীরিক সমস্যার কারণে কিছু জটিলতায় ভুগছিলাম। তবে এটাও মানছি, সব তা না। নিজের ব্যাপারেও সতর্ক ছিলাম না, ভুলত্রুটি যতটুকু পারি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ শেখার না আছে শেষ, না আছে বয়স। আজ না হয় পুরোনো কষ্ট মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করি সব। আমরা সবাই এক।’

২০১০ সালে নির্মাতা আশুতোষ সুজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা অবলম্বনে তৈরি করেন ‘ক্যামেলিয়া’। এই নাটকে অভিনয় করেই নাটকে অভিনয় শুরু হয় তার। এরাপর অভিনয় করেছেন অনেক নাটকে।