ইরানের তেল বন্ধে সাড়া, মোদির উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ট্রাম্প

জাতিসংঘের সাধারণসভায় ভারতকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য- এ প্রশংসা বিনামূল্যে মেলেনি।

সূত্রের খবর, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে নভেম্বর থেকে ইরানের তেল কেনা বন্ধ করতে চলেছে ভারত। তাই এত দরাজ ট্রাম্প প্রশাসন।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।

ইরানের তেল কেনা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে নয়াদিল্লির। সূত্রের খবর, তারাও ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে চলেছে। যদিও ইরানের সবচেয়ে বড় খদ্দের চীন কী করবে, স্পষ্ট নয়।

চলতি মাসের গোড়ায় আমেরিকার সঙ্গে টু-প্লাস-টু বৈঠকেই নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয় যে, ইরান থেকে তেল আমদানি ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে তারা।

ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, নভেম্বরের পর ইরান থেকে তেল কিনলে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট দেশকে। ভারতের দুই বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের পক্ষ থেকে নভেম্বরের জন্য ইরানের কাছে নতুন করে তেল চাওয়া হয়নি।

ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেডও আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এ সংস্থাগুলো ইরানের থেকে তেল আমদানির প্রশ্নে প্রথম তিনটি স্থানে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, এতেই বোঝা যায় যে বিকল্প শক্তির উৎস সন্ধান ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে দেশে।

জাতিসংঘের সভায় ইরানকে একহাত নিয়ে ট্রাম্প দাবি করেছেন, সে দেশের নেতারা নৈরাজ্য, হত্যা ও ধ্বংসে বিশ্বাসী। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে যারা ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করছে, সেসব রাষ্ট্রের প্রতি তার বার্তা, বিদেশি অনুদানের প্রশ্নে আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা। যাদের আমরা ডলার এবং সুরক্ষা দিয়ে থাকি, তারা সর্বদা আমাদের হৃদয়ে বাস করে।

জাতিসংঘের সভায় দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মুক্ত সমাজ গড়া প্রসঙ্গে ভারত তথা মোদির সরকারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেদিনই ওয়াশিংটনের প্রথম সারির সমীক্ষা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন তাদের রিপোর্টে মানবসম্পদের তালিকায় ১৯৫ দেশের মধ্যে ভারতকে ১৫৮তম স্থানে রেখেছে!

সমীক্ষা হয়েছে গড় আয়ু, শিক্ষাগত মান, স্বাস্থ্য ইত্যাদির নিরিখে।