ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়ে যা বললেন মুশফিক

চলতি এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। সেই ইনিংস শেষ হয়েছে আক্ষেপ দিয়ে। কিন্তু মুশফিকের ৯৯ রানের সেই ইনিংসে ভর করে দল পেয়েছে লড়াই করার মতো পুঁজি। আর তার করা রানের উপর ভর করে সম্বল ফাইনালের দেখা টাইগার বাহিনী।

এই এশিয়া কাপেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি প্রায় ২৪টি ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে ভীষণ চাপের মধ্যে খেলেছেন ১৪৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ভীষণ চাপের মধ্যে মুশফিক কীভাবে খেলেন এমন অসামান্য সব ইনিংস? এ প্রশ্নটা পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার। ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মুশফিক এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন নিজের উপর আত্মবিশ্বাসই তাকে কঠিন মুহুর্তে দলের হাল ধরতে শক্তি যোগায়।

সেঞ্চুরি না পাওয়ায় কিছুটা আফসোস হয়তো আছে কিন্তু দিন শেষে দলের জয়ে তা অনেকটা চাপা পড়ে গেছে। নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই ৪.২ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকেই মোহম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেলে তুলেন মুশফিক। ১৪৪ রানের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশীপই বাংলাদেশ দলকে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যায়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। তার ৯৯ রানের উপর ভর করেই ২৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা। আর ম্যাচ শেষে ৩৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। আর তাই মুশফিকুর রহিমের হাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মিথুনও দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। শুরুতেই কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তাকে বলেছিলাম, ক্রিজে আমাদের থাকতে হবে। কিভাবে যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যাট করা যায় তা নিয়ে অনুশীলন করেছি। ভালো প্রস্তুতি ছিল। সেটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।