চৌগাছা থানার ওসিকে ঘুষের টাকা না দেয়ায় মাকাপুর গ্রামের নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ধর-পাকড় ও আটককৃতদের উপর শারীরিক-মানষিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মাকাপুর গ্রামের লতিফা হায়দার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমার স্বামী মরহুম হায়দার আলীর প্রায় ৪০ বিঘা জমি ছিলো। ঐ জমির অংশ ওয়ারেশনের মধ্যে আইন মোতাবেক বণ্টন হলেও আমার ছোট ছেলে যশোর ক্যান্টেনমেন্ট কলেজের মেধাবী ছাত্র ও বৈষম্য বিয়োগী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আল-ইমরান বাবুর কিছু অংশ আমায় অবাধ্য মেজো পুত্র ব্যারিস্টার একেএম মোর্তজা রাসেল বেআইনীভাবে দখল করে নিলে বিরোধ দেখা দেয়। এবিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের একাধিক মামলা রয়েছে, যা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।
তিনি অভিযোগ করেন, ব্যারিস্টার একেএম মোর্তজা রাসেল চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে আমার ছোট ছেলে আল-ইমরান, বড় ছেলে এডভোকেট ইমামুল হাসান ও তিন কন্যাসহ মাকাপুর গ্রামবাসীকে হয়রানী করে চুক্তি করেন।
গত ২৭ এপ্রিল আমার দুই ছেলে ও মেয়েদেও এবং গ্রামের ২২ জন নিরীহ মানুষের নামে একটি মিথ্যা (চৌগায়া থানার মামলা নং-২২, জি.আর-৬৩/২৫) মামনা দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে ধর-পাকড় ও আটককৃতদের উপর শারীরিক-মানষিক নির্যাতন শুরু করেন। এই সময়ে উক্ত মামলার ২২ জন ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন দেন। কিন্তু এতে চৌগাছা থামার অসধুু ওসি আনোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এবং আমার পরিবারের লোকজন্যকে থানায় ডেকে পাঠান। আমারা চৌগাছা থানায় গেলে ওসি আমাদেরকে আটক করবেন না এবং আর কোন নতুন মামলা দিয়ে হয়রানী করবেন না বলে জানিয়ে আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন।
৩ দিনের মধ্যে টাকা না দিনে তিনি আমাদের পরিবার ও মাকাপুর গ্রামের মানুষকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হাত পা ভেঙ্গে ঝেলে ভওে দিবেন বলে হুমকি দেন। আমার ভয়ে ঐ দিন ওসি আনোয়ারকে দুই লাখ টাকা দিয়ে আসি। কিন্তু বাকি আট লাখ টাকা না পেয়ে ওসি কুকর্মের সহযোগী এস আই মারুফ ও এসআই হোসেন চলতি মাসে ৫ তারিখে মাকাপুর গ্রামে মুকুট ঢালীর পার্কের সামনে জড়ো হন এবং হঠাৎ যাকে তাকে ধরে আসামী বলে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু কবেন। এই সময়ে পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং যশোর সরকারী এমএম কলেজের মেধাবী মাত্র ও জুলাইয়ের বৈষম্য নিয়োগী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য সিয়ামকে আটক করে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন। যা দেখে গ্রামের মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হয়।
অভিযোগে আরও বলেন, ওসি আনোয়ার, এসআই মারুফ ও হোসেন বিরুদ্ধে ইতমধ্যে চৌগাছার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজী, জবরদখল, লুটপাট ও হুমকিসহ মাদককারবারীকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে। এসব নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ প্রকাশিতও হয়েছে। গত ৭মে ওসি আনোয়ারের পক্ষে এসআই মেহেদী হাসান মারুফ (চৌগাছা থানার মামলা নং-০৭, মি.আর-১০৩/২৫) মামলা করেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট ঘটনাকে উল্লেখ করে করা হয়েছে।
তিনি অসত্য ও বিধান্তীকর তথ্য নিয়ে সত্য ঘটনাকে আড়াল করে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে মামলা করেছেন। গ্রামবাসী পুলিশের কাজে কোনো বাধা দেননি এবং কাউকে কোনো আঘাত করেননি, বরং পুলিশ ছিলো মারমুখি তার অনেক ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সানাউল্লাহ, আলেয়া খাতুন ও স্নেহলতা।