কৌশলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল চীন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর কৌশলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে চীন।

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা মিয়ানমার মৌখিকভাবে বললেও বাস্তবে তারা কোনো কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না বলে জাতিসংঘের অধিবেশনে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

কিন্তু এরপর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গা ইস্যুটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে বিষয়টি আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধিতা করেছে দেশটি।

চীনের পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে শুক্রবার বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, রাখাইন প্রদেশের ইস্যুটি মূলত মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার একটি সমস্যা। এ ইস্যুটিকে জটিল, বিস্তৃত বা আন্তর্জাতিকীকরণ হোক – এতে চীনের সম্মতি নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ – রাখাইন প্রদেশ ইস্যুটি যথাযথভাবে সমাধানের জন্য একটি চার দফা নীতিতে ঐকমত্যে উপনীত হয়েছে। ওয়াং ই আশা প্রকাশ করেন যে দুটি দেশই আলোচনার মাধ্যমে অসুবিধাগুলো দূর করে একসঙ্গে এর সমাধান বের করবে।

এরই মধ্যে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে জাতিংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যে উদ্যোগ নিয়েছে – তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে চীন।

গত এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর প্রায় তিন মাস পর গত বছরের নভেম্বর মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকা সফরে এসেছিলেন।

এর এক সপ্তাহের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছিল যে চীনের চাপে পড়েই বাংলাদেশ সে সমঝোতা স্বাক্ষর করে।

এখন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের কোনো কার্যকর ভূমিকা না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।