রাবি’র ১০ম সমাবর্তন: আনন্দের জোয়ারে ভাসছে ক্যাম্পাস

হাসান মাহমুদ, রাবি: মহাসমারোহ আর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ১০ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমাবর্তনের ক্যাপ-গাউন পরিধান করে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছে রাবি’র সাবেক শিক্ষার্থীরা। আর এ সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে ক্যাম্পাস। সমাবর্তনে এবার ৬ হাজার ১৪ জন গ্র্যাজুয়েট অংশ গ্রহণ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে সাজানো হয়েছে সমাবর্তন মঞ্চ। আজ (শনিবার) দুপুর দুইটার পর স্টেডিয়াম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও রাবি’র আচার্য মো. আবদুল হামিদ এর উদ্বোধন করবেন। সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের দায়িত্বরত ডীন আচার্যের সামনে গ্র্যাজুয়েটদের উপস্থাপন করলে আচার্য তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুদের কাছে পেয়ে আনন্দে যেন আত্মহারা। সকাল থেকেই গ্র্যাজুয়েটদের সমাবর্তনের ক্যাপ-গাউন পরিধান করে আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে দিয়ে ফটোসেশন করতে দেখা গেছে।

সমাবর্তনে গণযোগাযোগ বিভাগ থেকে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শামীম রহমান বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার শেষে বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে এরকম উৎসবমুখর সমাবর্তন অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করছি। ’

বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, জোহা চত্বর, প্যারিস রোড, প্রশাসন ভবন, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, ফোকলোর মাঠ, নিজ নিজ বিভাগ ও হলের সামনে, স্টেডিয়াম ও সমাবর্তন মঞ্চ এলাকায় চলছে ফটোসেশনের তোড়জোড়।

এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত এ সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। রাস্তা সংস্কার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনায় রঙ-তুলির আঁচড়ে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে। রাস্থায়-রাস্থায় আঁকা হয়েছে আল্পনা। সব মিলে ক্যাম্পাস যেন ভাসছে আনন্দের নাওয়ে। বৃহৎ এ সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটসহ প্রায় ১৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া প্রধান ফটক, জোহা চত্বর, প্রশাসন ভবন, কাজী নজরুল ইসলাম মিলানায়তনসহ বেশ কয়েকটি ভবন আলোকসজ্জ্বা করা হয়েছে। তবে এর সাথে সাথে নিরাপত্তার দিকটাও বাদ যাচ্ছে না। নিরাপত্তার সার্থে রাবি’র অভ্যন্তরে এবং বাইরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এমিরেটাস অধ্যাপক আলমগীর মো. সিরাজউদ্দীন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে গান পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।

এর আগে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরুর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরতœ শেখ হাসিনার নামে ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হলের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন করবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এছাড়াও সমাবর্তনে প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেনকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রী প্রদান করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাশ কুমার কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।