যশোরের অভয়নগরে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে খানা তথ্যভান্ডার শুমারি। ইতোমধ্যে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৩১৩জন গণনাকারী। প্রশিক্ষণে সকল গণনাকারি অংশগ্রহণ করেনি।
অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগকৃত গণনাকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সঠিকতা যাচাই-বাছাই করা হয়নি। যার ফলে গণনাকীরা সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা তাদের পক্ষে দূরহ হয়ে পড়বে। সরকারের এই মহতী উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, ২৭সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া তথ্য সংগ্রহকারীর কাজ চলবে চলতি মাসের ১৬অক্টোবর পর্যন্ত। এ অঞ্চলের সকল খানার আর্থ-সামাজিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এ খানা শুমারি। অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দাঁয়সারা গোচের তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীর মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গণনাকারী জানান- কর্মশালায় প্রথম দিনে উপস্থিত হন ৩৫জন গণণাকারী। দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত হন ৩২জন, আর কর্মশালার শেষ দিনে উপস্থিত হন ৩০জন গণনাকারী। দাঁয়সারা গোচের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তাদের। প্রশিক্ষণে দুপুরের খাবারের মানও ছিল কোন রকমের। যথাযথভাবে তদারকি ছাড়া সঠিকভাবে খানা শুমারি সম্ভব নয়।
বিষয়টি সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান অফিসার সাইদুর রহমান বলেন- গণনাকারীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ৩১৩জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গণনাকারী নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলতে গেলে, তিনি বলেন- উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসে এলে এ ব্যাপারে সকল বিষয় জানান হবে।